অফিসে দুপুরে খাওয়ার সময়ের আদবকেতা
প্রতিদিনই আপনাকে দুপুরের খাবারটা অফিসেই খেতে হয়। কখনো বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসেন আবার কখনো অফিসের খাবারই খান। তবে বাসায় বসে খাবার খাওয়া আর অফিসে খাবার খাওয়া এক না। অফিসে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। এ ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট স্টাডি গাইডের এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন। এই তালিকা দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন অফিসে দুপুরে খাওয়ার সময় কী করবেন আর কী করবেন না।
১. কাজ করার সময় সারাক্ষণ তো নিজের ডেস্কে বসেই থাকেন। তাই দুপুরের খাওয়াটা অফিসের ডাইনিংয়ে কিংবা ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে খেলে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হবে এবং আপনিও কাজের পরিবেশ থেকে বিরতি পাবেন।
২. সবার সঙ্গে খাবার খাওয়ার সময় কাজের বিষয়ে কথা না বলাই ভালো, যাতে অন্য সহকর্মীরা বিরক্ত না হয়। আর সারা দিন কাজের কথা শুনতে বা বলতে আপনারও ভালো লাগবে না।
৩. অনেক সময় অপছন্দের সহকর্মীর সঙ্গে একসঙ্গে খাবার খেতে হয়। এ সময় এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে তিনি বিব্রত হন। আপনার তাঁকে ভালো না-ই লাগতে পারে। সেটা অন্য সহকর্মীদের সামনে প্রকাশ না করাটাই ভালো।
৪. যেখানে আপনি বসে খেতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন, সেখানেই বসুন। কারণ খাওয়ার সময় অস্বস্তিতে ভুগলে ঠিকমতো খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না।
৫. বিরিয়ানি বা পোলাওজাতীয় খাবার আনলে একা খাওয়ার চেষ্টা করুন। সবার সামনে একা একা এ ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। এটা অন্য সহকর্মীদের জন্য বিব্রতকর।
৬. বেশি খাবার নিয়ে এলে অন্য সহকর্মীদের খেতে দিন। এটা একধরনের ভদ্রতা। আর খাবার বেশি না আনলেও খাওয়ার সময় তাদের খেতে বলুন। তাঁরা অবশ্য খেতে চাইবেন না, তবুও বলুন।
৭. একসঙ্গে খাওয়ার সময় খুব জোরে কথা বলবেন না। এটা অফিস, বাসা না। খুব হাসাহাসিও করবেন না। এতে পাশের টেবিলে থাকা কর্মীরা বিরক্ত হতে পারেন।
৮. খাবার আস্তে আস্তে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর অনেক বেশি খাবার একসঙ্গে খাবেন না। এতে অন্য সহকর্মীদের কাছে হাসির পাত্র হবেন।
৯. অফিসে খাওয়া শেষে আঙুল চাটবেন না কিংবা প্লেট মুছে খাবেন না। আপনার এই অভ্যাসটি অন্যের জন্য খুবই অস্বস্তিকর।
১০. সবার সঙ্গে খাওয়ার সময় ফোনে কথা বলবেন না। পারলে এই সময়টা ফোন নীরব করে রাখুন।