দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করতে পড়ুন ৯ বই
বই পড়ার অভ্যাস খুবই ভাল। এর থেকে শ্রেষ্ঠ বন্ধু মানুষের জীবনে আর কিছু নেই। বই আমাদের গভীর অন্তর্দৃষ্টি, চ্যালেঞ্জিং দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। কিছু বই আত্ম-প্রতিফলন ঘটায়। সহানুভূতির দিকে আমাদের ব্যক্তিগত বিকাশকে উত্সাহিত করে। এমন কিছু বই রয়েছে যা আমাদের জীবনকে উন্নত করতে সহায়তা করে। জীবনের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এই বইগুলো অবশ্যই পড়ুন।
স্টিফেন চবোস্কি রচিত ‘দ্য পারকস অব বিং এ ওয়ালফ্লাওয়ার’
বইটি ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র চার্লি নামক এক শিশু। বয়ঃসন্ধি এবং যৌবনের জগতের মাঝে চার্লির চিন্তাধারার বিবরণ দেয় এই উপন্যাসটি। তার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে মিথস্ক্রিয়া মোকাবেলা নিয়েই গড়ে ওঠেছে এর গল্প।
জেনি ওডেলের ‘হাউ টু ডু নাথিং: রেসিস্টিং দ্য এটেনসন ইকোনমি’
এই বইটি অর্থনীতির সাথে আপনার মনোযোগ পুনরায় স্থাপন করবে। আত্ম-আবিষ্কারের জন্য বইটি পড়া উচিত। এর মাধ্যমে সমাজের মাঝে থাকার গুরুত্ব আপনি জানতে পারবেন। বইটি আমাদের সংযুক্ত অস্তিত্বের দিকে পরিচালিত করে।
ইউভাল নোহ হারারির ‘স্যাপিয়েন্স: এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড’
এই বইটি মানব ইতিহাসের একটি মনোমুগ্ধকর ব্যাখ্যা। এই বই আপনাকে বিবর্তন থেকে পুঁজিবাদের উত্থান সম্পর্কে জ্ঞান দেবে। প্রজাতির আধিপত্য সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন। এই পুরষ্কার বিজয়ী বইটি হোমো স্যাপিয়েন্সের গঠন এবং বৈশ্বিক প্রভাবের মাধ্যমে একটি চিন্তা-উদ্দীপক যাত্রা সরবরাহ করে।
জেমস পি কারসের ‘ফাইনাইট এন্ড ইনফাইনাইট গেমস’
এই বইটি জীবন সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন রূপ দেবে। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনার শক্তি সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে পারবেন। জীবনের স্থায়ী ও ইতিবাচক প্রভাব আবিষ্কার করতে পারবেন।
ভিক্টর ই ফ্রাঙ্কলের ‘মেনস সার্চ ফর মিনিং’
এই বইটি আপনাকে জীবনে অর্থ এবং আশাবাদ খুঁজে পেতে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে সহায়তা করে। এটি রূপান্তরকারী দৃষ্টিভঙ্গি সন্ধানকারীদের অবশ্যই পড়া উচিত।
মিচ আলবোমের ‘টিউসডে উইথ মোরি’
এই বেস্টসেলার বইটি আপনার হৃদয় স্পর্শ করবে। আপনার জীবনকে আরও ভালভাবে পরিবর্তন করবে। এই বইটি পড়লে কৃতজ্ঞতা, ভালবাসা, ক্ষমার মত মহৎ কাজের ক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।
রে ডালিওর ‘প্রিন্সিপালস’
বইটিতে রে ডালিও তার ব্যক্তিগত যাত্রা এবং অমূল্য জীবনের পাঠগুলো ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি পাঠকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। জীবনে সাফল্যের জন্য চিন্তাভাবনা, কাজ এবং সহযোগিতার অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করেছেন।
জেমস ক্লিয়ারের ‘এটোমিক হেবিট’
এই বইটি ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনের শক্তি উন্মোচন করে। দৈনন্দিন জীবনে ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। খারাপ অভ্যাসগুলো ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে। ক্লিয়ার তার এই বইতে ইতিবাচক রূপান্তরের ওপর জোর দিয়েছেন।
গ্লেনন ডয়েলের ‘আনটামেড’
‘আনটামেড’ বইটি আত্ম-আবিষ্কার এবং ক্ষমতায়নের একটি আকর্ষণীয় বিবরণ সরবরাহ করে। ডয়েল এই বইতে নারীদের প্রভাবিত করে এমন সামাজিক সীমাবদ্ধতার ওপর আলোকপাত করেছেন। যেমন- লিঙ্গ, যৌনতা, ধর্ম এবং বর্ণের ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া