কুয়ালালামপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় খাবার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি আধুনিক এবং বৈচিত্র্যময় দেশ মালয়েশিয়া। দেশটির বিখ্যাত ল্যান্ডস্কেপগুলোর অধিকাংশই অবস্থান করছে রাজধানী কুয়ালালামপুরে। এটি মালয়েশিয়ার রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। অর্থনৈতিক এবং উন্নয়নের উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বর্ধমান মেট্রোপলিটন অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি এই শহর।
সীমান্তজুড়ে তিতিওয়াংসা পর্বতমালা এবং মালাক্কা প্রণালী দ্বারা পরিবেষ্টিত এই দেশের বৃহত্তম নগরীটি একটি বিশেষ স্থানের অধিকারী। এখানকার প্রতিটি স্থাপনায় আভিজাত্য ও সৃজনশীলতার এক মনোমুগ্ধকর মেলবন্ধন রয়েছে। দিনের আলো নিভে গেলেও শহরের জনাকীর্ণ রাস্তাগুলো আলোকসজ্জায় ভরিয়ে রাখে গোটা কুয়ালালামপুরকে। চলুন, এই কুয়ালালামপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
শহরটির স্থানীয় খাবার ও এর রন্ধনশৈলীতে যেমন রয়েছে নিজস্বতা তেমনি রয়েছে একাধিক ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণ। একদম সকালের নাস্তা থেকে শুরু করলে অনায়াসেই চলে আসে নাসি লেমাকের প্রসঙ্গ। নারকেল দুধের সঙ্গে সিদ্ধ ভাতের আয়োজনকে সুগন্ধিযুক্ত করা হয় পোলাও বা পায়েস পাতা দিয়ে। এর উপরে সাজানো আয়োজনে খুব সাধারণ পদ হলো ভাজা অ্যাঙ্কোভি মাছ। এর সঙ্গে প্রয়োজন মতো দেওয়া হয় চিনাবাদাম, শসার সালাদ, সিদ্ধ ডিম, মরিচ ও চিংড়ি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তল্লাটে এলে পর্যটকরা প্রথমেই যে খাবারটি খুঁজে বেড়ান তা হচ্ছে- সাতে। বিভিন্ন ধরনের সসের সঙ্গে মিশিয়ে গরম কয়লার উপর মাংসকে ভাজা হতে থাকে। এভাবে খুব সাবধানে হালকা পোড়া অবস্থা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে মূলত মুরগি, গরু বা ভেড়ার মাংসই বেশি ব্যবহার করা হয়।
আর সসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় হালকা মশলাদার চিনাবাদাম। উৎপত্তিটা চীনে হলেও চার কুয়ে তেওয়ের এখানকার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া খাবারগুলোর একটি। এটি হচ্ছে সয়া ও ঝিনুকের সস দিয়ে বানানো এক ধরনের নুডলস। একাধিক সসের মিশ্রণই এই খাবারের মূল বিশেষত্ব। পূর্ণাঙ্গ ডিশে রূপ দেওয়ার জন্য এতে যোগ করা হয় ডিম, রসুন, শিম, লুপ চিওং নামের এক ধরনের মিষ্টি। যারা সামুদ্রিক খাবারের প্রতি আলাদা ঝোঁক রয়েছে তাদের জন্য চিংড়ি অথবা স্কুইডও সংযোজন করা হয়। এই ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো ছাড়াও পর্যটকদের নিয়মিত ভ্রমণভোজে যুক্ত থাকে বারবিকিউ চিকেন উইংস এবং ফিশ হেডকারী।