করলার তেতোভাব কমানোর ৫ কৌশল

করলা পরিচিত এর তিক্ততার জন্য। তিতা স্বাদযুক্ত করলা সবার পছন্দ না হলেও এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। করলা সাধারণত আমরা ভাজি হিসেবে ও তরকারি হিসেবে খেয়ে থাকি। এই সবজি বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও উপকারী ভিটামিনসমৃদ্ধ। অনেকেই এই তেতো সবজি মুখে তুলতে চান না। আর তেতো স্বাদের ভয়ে করলা বাদ দিলে আপনারই ক্ষতি। এ সবজির তেতোভাব কমানোর কয়েকটি উপায় আছে। চলুন করলার তেতো স্বাদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
লবণের টোটকা
লবণ স্বাদ তৈরিও করে, স্বাদ নষ্টও করে। সেই লবণ দিয়েই করলার তেতো স্বাদ খানিক কমানো যেতে পারে। বাড়িতে টক-ঝাল কমানোর জন্য যেমন লবণ ব্যবহার করা হয়, তেমনই তেতো কমানোর জন্যও সুপরিচিত লবণ। প্রথমে পাতলা পাতলা করে করলা কেটে নিন। অল্প করে লবণ মাখিয়ে দিন। ২০-৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। যখন দেখবেন, করলা থেকে পানি বেরিয়ে আসছে, তখন বুঝবেন তেতোভাব কমতে শুরু করেছে। এরপর ৩-৪ বার পানি ধুয়ে নিন, যাতে নোনতা না হয়ে যায়। তারপর রান্নায় দিয়ে দিন।
ভিনেগার-চিনির প্রয়োগ
এক পাত্র ভর্তি পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার ও দুই টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর টুকরো করা করলাগুলো সেই মিশ্রণে ঢেলে দিন। আধা ঘণ্টা পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই নিশ্চিন্তে রান্নায় মেশাতে পারেন।
করলার বীজ অপসারণ
করলার বীজই বেশি তেতো। তাই বীজকে আলাদা করে দিলেই করলায় তেতোভাব কমে যাবে। তবে চিন্তা নেই, বীজ বার করে দিলেও করলার পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
দইয়ে ভেজানো
তেতোকে টেক্কা দিতে টক দই প্রয়োগও কার্যকরী। দইয়ের প্রাকৃতিক অ্যাসিড এবং ক্রিমিভাব করলা থেকে তেতোর পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। আধা ঘণ্টা দইয়ে ভিজিয়ে রাখার পর রান্নায় ঢেলে দিন করলার টুকরোগুলো। উপরন্তু রান্নায় হালকা টকভাব চলে এলে, খেতেও ভাল লাগবে।
ঝাঁঝের সঙ্গে যুগলবন্দি
পেঁয়াজ, টমেটো, রসুন ও মসলাপাতির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে অনেক সময়ে তেতো ভাব কমে যায়। ঝাঁঝালো সবজি ও মসলার দাপটে করলার তেতোভাব নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে খানিকটা।