শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের জায়গা পরিদর্শন
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে তরুণ প্রজন্মের প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করতেই ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইনকিউবেশন সেন্টারে ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের জায়গা পরিদর্শন এবং সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের ব্রেইন চাইল্ড উল্লেখ করে পলক বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, একই সাথে ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হবে এবং দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরে দেশে ডিজিট অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে। এ কারণে মানুষের সময় এবং হয়রানি কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জমির পর্চার জন্য মানুষকে এখন জেলা শহরে যেতে হয় না। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে বসেই মানুষ সব সরকারি সেবা পাচ্ছে। ইউডিসি থেকে প্রতিমাসে ৬০ লাখ মানুষ সেবা গ্রহণ করছে বলেও তিনি জানান।
পরে প্রতিমন্ত্রী ঘিওর উপজেলায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের জায়গা পরিদর্শন করেন এবং লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ৩৭ জন ফ্রিল্যান্সাররের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।
৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মানিকগঞ্জের ঘিওরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান আইসিটি বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।