বুয়েটে অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে : পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষার্থীদের রোবটিকস, সাইবার সিকিউরিটি, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এ ছাড়া ভবিষ্যৎমুখি বিশেষায়িত ভিএলএসআই ল্যাব এবং ইউনিবেটর প্রতিষ্ঠার কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী। এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মানবসম্পদ তৈরি, চাহিদা পূরণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় দেশে অধিকতর টেকনোলজি এক্সপার্ট তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মত দেন তিনি।
আজ বুধবার প্রতিমন্ত্রী বুয়েট কাউন্সিল বিল্ডিংয়ে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় আইসিটি একাডেমির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার গবেষণা ও নিজেদের উদ্ভাবনগুলো পরীক্ষণের সুযোগ করে দিতে বুয়েটের পর পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এগুলো হবে কুয়েট, চুয়েট ও রুয়েট, যশোর এবং ঢাকায়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলতে এবং ডিজরাপ্টিভ টেকনোলজি সম্পর্কে ধারণা দিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশের ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সারা দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক, ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনফো সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ শতভাগ ইন্টারনেট ও অনলাইনে শতভাগ সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। এসব কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইটি সেক্টরে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান, বুয়েট এর ইইই বিভাগের প্রধান ডা. মো. কামরুল হাসান, বুয়েট এর আইআইসিটি পরিচালক ডা. মো. রুবাইয়াত হোসেন মন্ডল, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি ট্যালেন্ট ও ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাথে যৌথভাবে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।