কলকাতার আদালতে পি কে হালদারকে ফের তোলা হবে ১০ আগস্ট
বাংলাদেশ থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আগামী ১০ আগস্ট ফের কলকাতার নগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হবে।
আজ শুক্রবার এই নির্দেশ দেন কলকাতার নগর ও দায়রা জজ আদালতের সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩ বিচারক জীবন কুমার সাধু। আজ সকাল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ তাদের আদালতে আনা হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ বিচারকের এজলাসে তোলা হয়। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে তাদের ফের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
গত সোমবার (১১ জুলাই) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। ১০০ পাতার ওই চার্জশিটে পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২' মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে তাদের দুটি প্রতিষ্ঠানেরও।’
ওইদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, ‘১০০ পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে আদালতে। এদিন সেই চার্জশিটের কপি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আগামীদিনে নতুন যা তথ্য আসবে তা, সাপলিমেন্টারি চার্জশিট আকারে আদালতে পেশ করা হবে।’
অপরদিকে, পি কে হালদারের মেডিক্যাল চেকআপের জন্য মামলাকারীর পক্ষ থেকে আদালতে যে আবেদন করা হয়েছিল, বিচারক তাতে অনুমতি দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আগামী ১০ আগস্ট পি কে হালদারের মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা করতে কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ ৫ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে।
উল্লেখ্য, অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পি কে হালদার- এর সাথেই গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।
হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার পি কে হালদার। ফাইল ছবি