নতুন বই
ভয়ের বই রাতে বিপদ
বিশ্বাস করুক আর নাই করুক ভুতুড়ে, ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না এমন ঘটনার প্রতি মানুষের প্রচণ্ড একটা আগ্রহ আছে। পাঠকদের এমন আগ্রহ মেটাতেই প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য (স্টল নং ২৫৮,২৫৯ ও ২৬০) মেলায় প্রকাশ করেছে রাতে বিপদ বইটি। লিখেছেন ইশতিয়াক হাসান। হরর জার্নাল সিরিজের এটি প্রথম বই।
এখানে বইটির কয়েকটি কাহিনী সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো : আয়ারল্যান্ডের এক দুর্গে বেড়াতে গেলেন এডওয়ার্ড সিমনস। হঠাৎ রাতে শরীরে গনগনে এক ছ্যাঁকা খেয়ে ঘুম ভেঙে গেল। তারপরই চোখে পড়ল এক নারীমূর্তি। কিন্তু কী আশ্চর্য! তার শরীরের কোমর থেকে ওপরের অংশটাই আছে কেবল।
বিশাল এক জাহাজ দ্য গ্রেট ইস্টার্ন। কিন্তু সাগরে নামার আগেই মন্দভাগ্য পিছু নিল এর। জাহাজটার কারণে মরল মানুষ, ডুবল অন্য জাহাজ। টাকা-পয়সা হারিয়ে দেউলিয়া হলো এর মালিকরা। আর জাহাজের খোলের ভেতরে অবিরাম হওয়া ঠক ঠক শব্দের রহস্যই বা কী?
মৃত মহিলার কফিনের ডালা খুলল লোভী লোকটা, আংটির মধ্যে বসানো নীলকান্তমণিটা তার চাই। কিন্তু আংটিটা কেটে বের করে নিতেই উঠে দাঁড়াল সাদা শবের পোশাক পরা মৃতদেহটি। এখন?
ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছিল বেন প্রিস্টলি। হঠাৎ সামনে দেখা গেল এক ছায়ামূর্তি। তারপরই মিলিয়ে গেল কোনো এক ভোজবাজিতে। এটা কি তবে সেই ন্যান্সির ভূত?
দৌড়ে জাহাজের ডেকে উঠে এলো নাবিক। পিছু পিছু তেড়ে এলো আরো তিনজন। পরনে নাবিকেরই পোশাক। কিন্তু তাদের মাথা পশুর কেন?
ভুতুড়ে কাহিনীগুলো পড়ে শিউরে উঠবেন কখনো, কখনো হবেন রোমাঞ্চিত। ভয় সীমা ছাড়াবে, যখন জানবেন এগুলো নিছক গল্প নয়, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটা নানা ধরনের ভুতুড়ে, ব্যাখ্যার অতীত ষোলোটি কাহিনী স্থান পেয়েছে এতে। কিছু কিছু ঘটনা বহু পুরোনো দিনের হওয়ায় লোককাহিনী আর কিংবদন্তির ছোঁয়া লেগেছে।