টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ ক্যাম্পেইন
শর্ট ভিডিওর জনপ্রিয় গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম টিকটক এবং জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আবারও চালু হয়েছে ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ ক্যাম্পেইন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ব্যাপক সাফল্যের পর ক্যাম্পেইনটি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনলাইন দুনিয়ায় কিভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখতে হয়, সেটি সম্পর্কে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য। এই ক্যাম্পেইনের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে সুরক্ষা, সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহার এবং পজিটিভ কনটেন্ট তৈরি।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ ক্যাম্পেইনটি চলবে। খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের মোট ১৮টি জেলার তরুণরা এতে অংশগ্রহণ করবে। ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় ‘অনলাইন সেফটি আড্ডা’ নামে একটি দিনব্যাপী ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অনলাইনে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের নিজ দায়িত্বগুলো বুঝতে পারছে। এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে কীভাবে নিরাপদ থাকতে হবে সে সম্পর্কে তারা জানতে পারবে।
প্রতিটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর ওয়ার্কশপ শেষ হওয়ার পরে, একটি বিভাগীয় সেমিনারের আয়োজন করা হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবে ওয়ার্কশপের অংশগ্রহণকারীরা, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিশেষজ্ঞরা। এই সেমিনারের মূল লক্ষ্য হল– একটি জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু করা, যাতে একাধিক স্টেকহোল্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা উন্নত করা যায়।
মাঠ পর্যায়ের কাজের পাশাপাশি ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ ক্যাম্পেইনটি অনলাইনেও কাজ করবে। সবাই যেন সচেতনতামূলক কনটেন্টগুলোর ব্যাপারে জানতে পারে। সেই কারণে টিকটকের পাশাপাশি অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতেও এই ক্যাম্পেইন টি চলবে। ক্যাম্পেইনের মূল বার্তা এবং উদ্দেশ্যগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে ভিডিও এবং স্ট্যাটিক কনটেন্ট। সামাজিক মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে সার্বিক প্রচারণার জন্য ক্যাম্পেইনের সাথে যুক্ত থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা।
‘সাবধানে অনলাইন-এ’ ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে ইতিবাচকভাবে ভাবতে শিখছে। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়তে তরুণদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো এবং অনলাইনে নিত্য নতুন কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনই এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য।