যুক্তরাষ্ট্রে সুপার বোল প্যারেডে বন্দুক হামলায় নিহত ১, আহত ২২
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে ‘কানসাস সিটি চিফস সুপার বোল ভিক্টরি প্যারেডে’ বন্দুক হামলায় একজন নিহত এবং আট শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
এদিন এনএফএল সুপার বোল প্রতিযোগিতায় জয়ের আনন্দ উপভোগ করার জন্য কানসাসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। মিসৌরি ও কানসাসের গভর্নররাও এতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজয়ী দলের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। সেখানেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ভিক্টরি প্যারেডের একেবারে শেষের দিকে গুলি চালায় বন্দুকধারী।
এরপরই প্রবল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মানুষ ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কাছেই রেলস্টেশনের বাইরে মানুষ পাগলের মতো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।
স্থানীয়রা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকাটা খালি হয়ে যায়। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পুলিশ হলুদ টেপ দিয়ে পুরো জায়গাটা ঘিরে দেয়।
কানসাস নগর পুলিশ প্রধান স্টেসি গ্রেভস বলেন, ঘটনা তদন্তের কাজ এখনও চলছে। প্রথমে দুজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ প্রধান বলেন, ভিডিওতে একজনকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। এই তিনজনের মধ্যে কেউ সেই বন্দুকধারী কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান স্টেসি গ্রেভস আরও বলেন, ঘটনাস্থল খালি করা হয়েছে। এখন ওই জায়গা নিরাপদ। তবে ওখানে তদন্তকারীরা কাজ করছেন।
কানসাসের রেডিও স্টেশন কেকেএফআই জানিয়েছে, তাদের ডিজে লিসা লোপেজ গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। কেকেএফআইয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই বর্বর গুলি চালানোর ঘটনায় একজন সুন্দর মানুষকে তার পরিবার ও কানসাস হারাল।
কানসাসের মেয়র কুইন্টন লোকাস বলেন, তিনিও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে যা হয়েছে তাতে তিনি খুবই হতাশ এবং ভেঙে পড়েছেন। মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি বড় ইভেন্টে গুলি চলবে, আমাদের দেশের এই অবস্থা আমি চাই না। কোনো ইভেন্টে যেতে গেলে গুলি খাওয়ার চিন্তা হবে, সেটাও আমি চাই না।’
কানসাসের পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আজ যা হয়েছে, তাতে আমি ক্রুদ্ধ। যারা আনন্দ করতে এসেছিলেন, তারা তো নিরাপদে থাকবেন, এটুকু প্রত্যাশা নিয়েই তো তারা আসেন।’
কানসাসের গুলি চালানোর ঘটনা চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭তম বন্দুক হামলার ঘটনা বলে গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনও বারবার বলেছেন, অস্ত্র আইন কড়াকড়ি করতে হবে। কিন্তু তারপরেও মূলত রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় মার্কিন কংগ্রেসে আইন সংশোধন করে তা যথেষ্ট কড়াকড়ি করা সম্ভব হয়নি।