আমের খোসা ফেলবেন না!
আমের দিন তো এসে যাচ্ছে। এই সুস্বাদু ফলটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। আমের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তবে আপনি কি জানেন, আমের খোসা কতটা পুষ্টিকর?
ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর আমের খোসা একটু তেতো স্বাদের হয়। এর মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্স। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে আমের খোসার কিছু উপকারিতা।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
ক্যানসার নিয়ে কে না চিন্তিত? আপনি যদি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চান, আমের খোসা খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর উপাদানগুলো ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
রক্তের সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে বেশি পরিমাণে সুগার থাকা ভালো লক্ষণ নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যেমন : কিডনি, চোখ। এতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পাশাপাশি দেহে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমের খোসার উপাদান রক্তের সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে।
প্রদাহরোধী উপাদান
আমের খোসা আর্থ্রাইটিস, আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি শরীরের প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে।
চোখের জন্য ভালো
এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ। এটি দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো; চোখের মণিকে সুরক্ষিত রাখে।
ত্বকের জন্য
আপনি কি ত্বককে সব সময় তারুণ্যদীপ্ত রাখতে চান? ত্বকের বলিরেখা দূর করতে খেতে পারেন আমের খোসা। আমের খোসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। এটি ত্বক ভালো রাখে।
কীভাবে খাবেন
রোদে শুকিয়ে, এর পর ভেজে বা সেঁকে খেতে পারেন আমের খোসা। তবে যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা খাবারটি খাবেন না। আর খাওয়ার পর যদি শরীরে অ্যালার্জির মতো হয়, তাহলেও খাওয়া বাদ দিন।