ইসরায়েলে হাজারো জনতার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ
গাজা যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে পণবন্দি হিসেবে আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির ব্যাপারে দরকষাকষিতে ব্যর্থতার প্রতিবাদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজারো জনতা। খবর এএফপির।
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শহর তেল আবিবে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০ হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী রাজপথে বিক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ধারা নিয়ন্ত্রণে নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও গতি পেয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৭ জুন) প্রতিবাদী জনতা জেরুজালেমে এসে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা নতুন নির্বাচনের দাবি জানায় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোশে সান্দারোভিচ বলেন, ‘সে (নেতানিয়াহু) যে সমস্ত কাজ করছে তা ইসরায়েলের ধ্বংস ডেকে আনছে। ৭ অক্টোবর যা ঘটেছে তার জন্য সেই দায়ী।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন সে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমনকি যুদ্ধের প্রতিটা দিন খারাপ থেকে আরও খারপের দিকে যাচ্ছে।’
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, সহিংসতার অভিযোগে নয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এসব ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সামান্য আঘাত পেয়েছে।
ঢোল, হর্ন ও প্লেকার্ড নিয়ে বয়স্ক থেকে শুরু করে যুবা বয়সী হাজারো প্রতিবাদী নতুন নির্বাচন ও বাকী পণবন্দিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় তারা সব পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগানও দেয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২৫১ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসে। ইসরায়েলিরা মনে করে হামাসের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এখনো ১১৬ জন পণবন্দি আটক রয়েছে। পাশাপাশি হামাসের হামলায় সে সময় এক হাজার ১৯৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়।
এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। সেদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও স্থল আক্রমণে গাজা উপত্যকায় ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী।