গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকরের জন্য আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে আলোচনা। সম্প্রতি হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর নতুন করে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল এই আলোচনার মাধ্যমে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে। খবর এএফপির।
দোহার এই আলোচনায় যোগ দিয়েছে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দল। এ ছাড়াও রয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়ম বার্নস। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেয়নি। হামাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল নতুন করে কোনো প্রতিশ্রুতি না দিলে তারা আলোচনায় অংশ নেবে না।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের দিনটা শুরু হয়েছে প্রতিশ্রুতিময় হয়ে, তবে এক্ষেত্রে আরও অনেক কিছু করার আছে।’
ফিলিস্তিনি পক্ষ চাইছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ মে তারিখে যে রূপরেখা দিয়েছেন সেটা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হোক। ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির কথাও বলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) প্রথম দিনের আলোচনা শেষে হামাসের একজন কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অবশ্যই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
হোসাম বাদরান নামের ওই হামাস কর্মকর্তা বলেন, ‘যেকোনো চুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক আকারে যুদ্ধবিরতি, সব ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজের ভিটেমাটিতে ফিরে আসার সুযোগ দিতে হবে।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হবে।
আলোচনা চলতে থাকলেও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এই ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের মৃতের সংখ্য ৪০ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেনছেন, মৃতের এই সংখ্যাই বলে দেয় সেখানে অতিদ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে হবে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।