জাতিসংঘে সাধারণ বিতর্ক সমাপ্ত, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান
সরাইল, হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রতি জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) চেয়ারম্যান ফিলেমন ইয়াংয়ের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে সোমবার ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক শেষ হয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে ইয়াং বলেন, গত কয়েকদিনে বিশ্ব লেবাননে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতাকে অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখেছে। এ সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নাজুকভাবে ঝুলে আছে এবং বিশ্বকে এই অস্থিতিশীল অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যেতে দেওয়া মোটেই উচিত নয়।
ইয়াং যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ওপর প্রভাব রয়েছে এমন সকলকে অবিলম্বে যুদ্ধরতদের ওপর যুদ্ধবিরতি ও সংলাপে বসার জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি এই অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহকারী সমস্ত রাষ্ট্রকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে অঞ্চলটিতে শান্তি ফিরে আসার একটি সুযোগ প্রদানের আহ্বান জানান।
নৃশংস শক্তি প্রদর্শনের চেয়ে আলোচনা ও কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ইউএনজিএ চেয়ারম্যান বলেন, জাতিসংঘের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করবে—যাতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন না হয়।
জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, সাধারণ বিতর্কের শেষ দিনে অনেক বক্তা গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে অঞ্চলটিতে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাসাম সাব্বাগ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসনের নিন্দা করে ‘ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ করছে, তার বিচারের প্রয়োজনীয়তার ওপর’ জোর দিয়েছেন।
নিকারাগুয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভালড্রাক লুডউইং জায়েন্ত্শ্কে হুইটেকার সতর্ক করে বলেন, বিশ্ব শান্তির পথে হাঁটছে না। ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইল সরকার ও তার উন্নত বিশ্বের মিত্ররা যে গণহত্যা করেছে এবং এখনও যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে—আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
২৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সাধারণ বিতর্কে মোট ১৯৩ জন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন। যার মধ্যে ৭১ জন রাষ্ট্রপ্রধান, ৪২ জন সরকার প্রধান, ছয়জন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও যুবরাজ এবং আটজন উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন।