ইমরান খান ও স্ত্রী বুশরা বিবির সাজার বিরুদ্ধে আপিল
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/28/imran_bushra.jpg)
দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে খানের আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী এ আপিল আবেদন করেন। খবর এএফপির।
খালিদ ইউসুফ চৌধুরী বলেন, ‘আজ আমরা আপিল দাখিল করেছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, এরপর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ৯ কোটি পাউন্ডের আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান ও বুশরাকে যথাক্রমে ১০ লাখ ও পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করেন আদালত। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ইমরানকে অতিরিক্ত ছয় মাস এবং বুশরাকে তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়, জাতীয় জবাবদিহিতা অধ্যাদেশ, ১৯৯৯ এর ধারা ১০(ক) অনুসারে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প ট্রাস্টের সম্পত্তি ফেডারেল সরকার বাজেয়াপ্ত করবে।
দেশটির সাধারণ নির্বাচনের পরপরই ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/01/28/imraan-khaan-inaar.jpg)
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইমরান ও বুশরা বিবি বাহরিয়া টাউন লিমিটেড থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ এবং অনেক জমি নিয়েছিলেন। ইমরানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাজ্য পাকিস্তানকে যে পাঁচ হাজার কোটি রুপি অনুদান দিয়েছিল, তা বৈধ করতে এসব লেনদেন করা হয়েছে।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রমাণ ও সাক্ষীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটেনি। ইমরান খান ও বুশরা বিবি কেবল ট্রাস্টি হিসেবে ছিলেন, এর বাইরে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান খান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখার কৌশল।