খাবার খেয়ে পেটে ব্যথা?
পেটব্যথা, বমি ও বমি বমি ভাব, অবসন্নতা, পাতলা পায়খানা, জ্বর ইত্যাদি ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ। অবস্থা খুব খারাপ হলে তো চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। তবে তার আগে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ করা হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. আদা
এক টুকরো আদা নিন। একে থেঁতলে পানির মধ্যে সেদ্ধ করুন। ঠান্ডা হতে দিন। এর পর ধীরে ধীরে পান করুন। এ ছাড়া আদার রস নিতে পারেন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। এটি ফুড পয়জনিং থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করবে।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগারের মধ্যে থাকা অ্যালকেলাইন ফুড পয়জনিং তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার নিন। একে ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন।
৩. লেবুর রস
লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটোরি, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এগুলো ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণগুলো প্রতিহত করতে সাহায্য করে। দুই টেবিল চামচ লেবুর রসের মধ্যে সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে পারেন।
৪. মধু
মধুর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এক চা চামচ মধু দিনে দুই থেকে তিনবার খান।
৫. রসুন
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। কয়েকটি সতেজ রসুনের কোয়া চিবান। এটি ফুড পয়জনিং তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করবে।