হাঁটুর জয়েন্টের আঘাতের চিকিৎসায় আর্থোস্কোপি
হাঁটুর জয়েন্টের আঘাতের চিকিৎসায় বর্তমানে আর্থোস্কোপির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫০৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন। বর্তমানে তিনি বর্ডার গার্ড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের পরামর্শক হিসেকে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : আর্থোস্কোপির ভূমিকা কি হাঁটুর জয়েন্টের আঘাতে?
উত্তর : একটাই যদি বলি তার চিকিৎসা হলো আর্থোস্কোপি। তার যদি এন্টিরিওর কুশিয়ার লিগামেন্ট ইনজুরি হয়, সামনের দিকে থাকে, সে ক্ষেত্রে হাঁটুর গাঁট বরাবর ছোট্ট দুই ছিদ্র করে, পাশের থেকে তার একটি লিগামেন্ট নিয়ে, নিজের শরীরের লিগামেন্ট নিয়ে, আমরা দুই ছিদ্রের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে মনিটর দিয়ে দেখে দেখে আমরা ফ্রিজ করি ভেতরে। ওপরে ও নিচে দুটো স্ক্রু লাগিয়ে নতুন লিগামেন্ট তৈরি করে দিই। এই দুটো স্ক্রু হাড়ের সঙ্গে এমনিতেই মিলে যায়। আর এক্স-রেতে দেখা যাবে না। তখন তার নতুন লিগামেন্ট তৈরি হয়ে গেল।
প্রশ্ন : বায়োডিগ্রেডেবল যে স্ক্রু আপনারা দিচ্ছেন, এর জটিলতা কী হতে পারে?
উত্তর : বায়োডিগ্রেডেবল স্ক্রু যখন আমি হাড়ের ভেতর ঢুকিয়ে দিই, সে ক্ষেত্রে এটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। যদি সে কিছুটা জয়েন্টের মধ্যে থেকে যায়, সে ক্ষেত্রে আমরা বলি সাইনোবাইটিস হয়। কিছু একটা টিস্যু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে। যতই আমরা শোষণ ক্ষমতা রয়েছে বলি, অনেক সময় দেখা যায়, নয় মাস-ছয় মাসেও হাড়ের সঙ্গে মিশে যায় না।
আমি যে টানেল দিয়ে করলাম, সে ক্ষেত্রে স্ক্রুটাসহ, গ্রাফটসহ সমস্যা চলে আসতে পারে।
প্রশ্ন : ফলাফল ভালো কতখানি?
উত্তর : এটা হলো মিনি ইনভেসিভ সার্জারি, ছোট দুটো জয়েন্টের মাধ্যমে, জয়েন্টকে দেখে সেখানে ভেতরে লিগামেন্টটা ঢুকিয়ে, বায়োডিগ্রেডেবল স্ক্রু দিয়ে ফিট করে, সে ক্ষেত্রে যেহেতু অল্প একটু আঘাত পায়, রক্তপাত হয় না, তার বড় করে কাটতে হয় না। সে ক্ষেত্রে রোগী অতি সহজে তার পায়ের নড়াচড়া করতে পারে। রোগীকে পরের দিন থেকেই হাঁটতে বলি। আর বড় করে যদি কেটে করতাম, মেটালিক স্ক্রু লাগাতাম, ছয় সপ্তাহ শুইয়ে রাখতে হতো, এটা করতে হয় না। আজকাল আমি অস্ত্রোপচারের পর হাঁটতে দিয়ে দিই।