অ্যাপেনডিসাইটিসের চিকিৎসা কী?
অ্যাপেনডিসাইটিস খুব প্রচলিত একটি বিষয়। অ্যাপেনডিসাইটিস হলে দ্রুত চিকিৎসা করা জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫০৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. সরদান এন নাঈম। বর্তমানে তিনি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : চিকিৎসা কীভাবে করা হয়?
উত্তর : অ্যাপেনডিসাইটিসের একমাত্র চিকিৎসা হলো একে ফেলে দেওয়া। আমরা ছোট্ট কৃমির মতো যেটা লেগে আছে, সেটাকে বেঁধে রক্তনালিকে নিরাপদ করে, কেটে ফেলে দিই। রোগীরা অনেক সময় যখন আর টিকতে পারে না, যখন দেখে উপায় নেই, তখন আসে। এ সময় এলে জিনিসটি খারাপ হয়ে যায়। সে জন্যই রোগীদের বলব, প্রথমেই ভয় না পেয়ে সার্জনের কাছে এসে রোগের চিকিৎসা করে ফেলাটাই ভালো। পেটের যেকোনো অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে আমরা বলি যে সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। কখনো কখনো অবস্থা এত খারাপ হয়ে যায়, কোনো কোনো অ্যাপেনডিস পাঁচ মিনিটে করে ফেলি, কোনো কোনোটি এক ঘণ্টাও লাগে। অ্যাপেনডিস সব সময় একই জায়গায় থাকবে, সেটি নয়। এটা বিভিন্ন জায়গায় থাকে। এটা এমনভাবে লুকিয়ে থাকে যে একে বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়।
প্রশ্ন : এ সময় আপনারা কী ধরনের সার্জারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন?
উত্তর : আমি এ দেশে ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি শুরু করেছিলাম ’৯১ থেকে। প্রথমে আমরা পিত্তথলি দিয়ে শুরু করেছিলাম। তার পরপরই অন্যান্য। সারা পৃথিবীতেই তাই। পেটের প্রায় সব সার্জারি এখন ল্যাপারোস্কোপি দিয়ে হয়।
ল্যাপারোস্কোপি এখন ভীষণ প্রচলিত একটি সার্জারি। এটি ২০ থেকে ২৫ বছরে অনেক বেড়েছে। পেট কেটে আর না কেটে কোনো একটি সার্জারির মধ্যে তফাৎ অনেক।
পেট কেটে অস্ত্রোপচার করার যে ভয় কাজ করে, তার চেয়ে পেট না কেটে ক্যামেরা দিয়ে দেখে করার বিষয়টি অনেক ভালো।
আমরা ল্যাপারোস্কোপ দিয়ে যখন অস্ত্রোপচার করি, তরুণ নারী রোগীদের, বিশেষ করে পেটের অন্যান্য সমস্যাও দেখতে পাই। যেটি হয়তো আলট্রাসনোগ্রাম বা রক্তগণনা করে বোঝা যেত না। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা—এ দুটো বিষয়েই এটি করা যায়। তাই আমি বলব, তরুণ নারীদের জন্য এটি চমৎকার একটি চিকিৎসা। তবে প্রয়োজন হলো বিশেষ প্রশিক্ষণ, সার্জিক্যাল দক্ষতা।