অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
অস্টিওপরোসিস হাড়ের এক ধরনের রোগ। এ রোগে হাড় ছিদ্র হয়ে যায়। এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২৫০৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. ইউসুফ আলী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : এটি প্রতিরোধে মা-বাবারা সন্তানদের কী শেখাবেন?
উত্তর : সবসময় ব্যায়াম করতে হবে। বাচ্চাদের খেলতে দিতে হবে। হাঁটতে দিতে হবে। একদম চলাচলবিহীন জীবন যেন কেউ যাপন না করে। যত ব্যস্ততাই থাকে, এর মাঝে দিনের বেলা একটি সময় বের করে আমাদের হাঁটতে হবে। আরেকটি জিনিস করতে হবে। যেহেতু আমি স্পাইন সার্জন অস্টিওপরোসিসের সাথে একটি প্রচলিত সমস্যা হলো পিঠে ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা এগুলো নিয়ে আসতে পারি। সাথে সাথে রিকশাতে একটু ঝাঁকুনি বা গাড়িতে একটু আইল্যান্ডে একটু ঝাঁকুনিতে সাথে সাথে দেখা যায় মেরুদণ্ডের একটি হাড় ভেঙে গেল। এই রোগীগুলো আমাদের কাছে নিয়ে আসে। এগুলো এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসা। এটি থেকে একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। যেমন এখানে যদি একটি হাড় ভেঙে যায়, হাড় ভেঙে এখানে বসে থাকবে না। এই হাড়টি ভেঙে গেলে স্নায়ুর ওপরে চাপ দেবে। এই স্নায়ুর ওপর যখন চাপ দেবে তখন পা প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার একটি আশঙ্কা থাকে।
এটি প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের কাছে এলে এক্স-রে, এমআরাই করে দেখে ব্যবস্থাপনা করতে পারি। রোগীকে বলতে পারি, আপনি বিশ্রামে থাকেন। যাদের এ রকম হয়, তারা যদি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্রামে থাকে, তাহলে তার স্নায়ুর চাপের যে জটিলতা, এটি থেকে বেঁচে যেতে পারে। আমাদের কাছে এলে তখন আমরা সতর্ক করে দেই। তবে যখন সে এড়িয়ে যাবে যে ব্যথা নিয়ে সে ঘুরছে, চলছে তাহলে তার জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর জন্য কিছু আধুনিক চিকিৎসা আমাদের দেশেও আছে, সারা বিশ্বেও আছে। ভারডিওপ্লাস্টি, কাইফোপ্লাস্টি ইত্যাদি করি। ভারডিওপ্লাস্টিতে একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে মেরুদণ্ডের যে হাড়টা ভেঙে গেছে সেটার ভেতর বোন সিমেন্ট দেওয়া হয়। এতে হাড় স্থিতিশীল হয়ে যায়। হাড় আবার ভেঙ্গে যাওয়া এই জটিলতাগুলো চলে যায়।
প্রশ্ন : এগুলো করার পর কী কোনো পরামর্শ থাকে?
উত্তর : যাদের একটি হাড় অস্টিওপরোসিসের জন্য ভাঙ্গে, তাদের অন্য হাড়গুলো ভাঙ্গার আশঙ্কা, পাঁচ ভাগ বেড়ে যায়। হাড় ভেঙ্গে গেলে কলাপস হয়ে সামনের দিক বেঁকে যায়। বেঁকে যাওয়ার কারণে শরীরের ওজনের লাইনটা অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। তখন দেখা যায় অন্য ভারট্রিভ্রাগুলো কলাপস করার আশঙ্কা বেড়ে যায়।