শিল্পী সত্যজিৎ রাজনের ‘নক্ষত্রগুহা ও ছায়াপথের ত্বক’
‘আমি মূলত ক্ষমতার সঙ্গে জাড়ানো-মোড়ানো মানুষের যা কিছু মৌল প্রবণতা, এই যেমন যৌনতা, প্রেম, সভ্যতার উত্থানজনিত সংকট ও পতনবন্ধুর শঙ্কা-দোলাচলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আঁকি। আদতে আমি বিশ্বাস করি, মানুষ মুখ্যত যা দেখে, সে আসলে তা দেখতে চায় বলেই দেখে। তাই আমার অঙ্কনমুহূর্তে তাই ভেসে ওঠে আমার ক্যানভাসে, যা আমি চিন্তা করি বা দেখি।’ কথাগুলো বলছিলেন তরুণ চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রাজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারি-২-এ ‘নক্ষত্রগুহা ও ছায়াপথের ত্বক’ শিরোনামে শুরু হয়েছে তরুণ চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রাজনের প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনী।
৫৭টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। এর মধ্যে ১৮টি কালিকলমে, ১১টি তেলরঙ এবং বাকি ২৮টি মিশ্রমাধ্যমে আঁকা।
শিল্পী সত্যজিৎ রাজনের বিমূর্ত চিত্রকর্মগুলোতে ফুটে উঠেছে মানুষের ওপর মানুষের আগ্রাসন, প্রাণের জন্মগত হিস্যার কথা, প্রেম, যূথবদ্ধতা, আবার মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রাণের সঙ্গে আমাদের প্রাণসত্তার অভিন্নতার কথা।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন চারুকলা অনুষদের ডিন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক আবুল বারক আলভী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে বহু শিল্পী আছেন, যাঁরা প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত নন, কিন্তু শিল্পের ভুবনে অগ্রগণ্য। সত্যজিৎ রাজনের কাজে রয়েছে একটা নিজস্বশৈলী। আমি তাঁর চিত্রকর্ম দেখেছি, তাঁর কাজে নিজস্বতা আছে, সত্যিই তা প্রশংসনীয়।’
শিল্পী সত্যজিৎ রাজনের জন্ম ১৯৮৩ সালে, সিলেটে। সিলেট মদনমোহন কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর করেছেন। বর্তমানে তিনি সিলেটে ‘চিত্রন চারু শিল্পালয়’ নামে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত, খোলা থাকবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।