মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সমাজকর্মীর ভূমিকা
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কারদের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৪৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ড. তানিয়া রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সোশ্যাল ওয়ার্ক প্রোগ্রামের পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক বা ওয়ার্কার এটি আসলে কী?
উত্তর : ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক বলতে আসলে চিকিৎসা সমাজকর্মী বোঝায়। এদের সম্বন্ধে বলতে গেলে অনেকে মনে করবেন, এরা বোধ হয় ডাক্তার। আবার অনেকে মনে করে, সমাজের জন্য যারা ভালো কিছু করে, তারাই বোধ হয় সমাজকর্মী। আসলে এরা হলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও পেশাদার সমাজকর্মী, যারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রাখতে পারে। এখন এখানে চিকিৎসা সমাজকর্মী এ জন্য, একটু আগে যে শব্দটি বলা হলো মানসিক স্বাস্থ্যে একে বোঝানো বা ধারণা দেওয়ার জন্য ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কাররা খুব সুন্দর ভূমিকা রেখে থাকে। যদিও বাংলাদেশে এই ধারণা খুব নতুন। তবে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে যদি দেখি আমরা, যেমন আমেরিকায় বা ইউরোপে এই ধারণা অনেক আগে থেকেই চলে এসেছে।
ওইখানে কিন্তু ক্লিনিক্যাল ওয়ার্কারদের স্কুল আছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। হাসপাতালগুলোতে কাজ করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা অনেক ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশে এই ধারণাটি আসলে খুবই নতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর ধরে আমরা এই কোর্স দেওয়া শুরু করেছি। আসলে পেশাদার ডিগ্রি ছাড়া এটি আসলে খুব কঠিন। হাসপাতালে আমাদের সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগ রয়েছে।
ওখানে যারা কাজ করছে, কেউ আসছে দর্শন থেকে। কেউ আসছে পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে, সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকেও। ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কারদের যে প্রয়োজনীয়তা, সেটা সেভাবে অনুভব করেনি। এই সচেতনতা ছিল না বা ফোকাসে ওইভাবে যাওয়া হয়নি, এই প্রফেশনাল ডিগ্রির কারণে। এ জন্য আমি খুব খুশি হয়েছি যে আমাকে এখানে ডাকা হয়েছে, অন্তত ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার যে ধারণাটা আছে আমাদের দেশে, অন্য দেশের মতো সেটা জানাতে পারছি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে এই ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক যারা শুরু করেছে, তারা কী করছে?
উত্তর : আমরা যদি একটু আশপাশেও তাকাই তাহলে দেখব, ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকে যারা পাস করে গেছে, তারা বিভিন্ন হাসপাতালে বা বিভিন্ন সাইকিয়াট্রিস্টদের সঙ্গে সহযোগীর কাজ করছে। কেউ কেউ আবার কাউন্সেলিং সেক্টরেও কাউন্সেলিং দিচ্ছে। পিজির সঙ্গে আমাদের ফিল্ডওয়ার্ক আছে। সেখানেও আমাদের সমাজকর্মীরা অংশ নেন।