শ্বাসকষ্ট কোন পর্যায়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
শীতে শ্বাসকষ্ট সাধারণত বেড়ে যায়। তাই এ সময় সতর্ক থাকা জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৮৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্বাসকষ্ট কোন পর্যায়ে গেলে তার অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : তার জ্বর যদি তিন দিনের বেশি থাকে, কফ যদি হলুদ হয়ে যায়, তার যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তখনই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রশ্ন : শ্বাসকষ্টকে কখন জটিল অবস্থা হিসেবে দেখেন?
উত্তর : যে ধরনের শ্বাসকষ্ট তার জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করবে, একেই আমরা ঝুঁকির বলব। আপনি হয়তো শ্বাসকষ্টের জন্য কোনো কাজ করতে পারছেন না। আপনার বাসায় বসে থাকতে হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে। স্বাভাবিক যে কাজ করছিলেন, সেটা করতে পারছিলেন না।
প্রশ্ন : নিউমোনিয়া শিশুদের বেশি হয় এবং বয়স্কদের বেশি হয়। এ দুই দলের জন্য এই শীতে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর : আসলে খুব বয়স্ক ও খুব ছোট দুই দলই কিন্তু নিউমোনিয়াতে কাবু হয়ে যায়। তাদের জন্য নিউমোনিয়ার টিকা আছে। যাদের ডায়াবেটিস আছে, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসে সমস্যা আছে তাদের নেওয়া উচিত। বাচ্চাদের পাঁচ বছরের নিচে হলে তাদের নেওয়া উচিত।
প্রশ্ন : আর জীবনযাপনে সতর্কতা?
উত্তর : যদি সাধারণ ঠান্ডা-কাশি লাগে, এর চিকিৎসা করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে না সারলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্ন : শ্বাসকষ্ট যাঁদের আছে তাঁদের করণীয় কী? আর যাঁরা জানেন না শ্বাসকষ্ট আছে, তাঁদের করণীয় কী?
উত্তর : ইনহেলার নেওয়ার তো পদ্ধতি আছে। যদি কারো শ্বাসকষ্ট হঠাৎ বেড়ে যায়, দেখতে হবে নেওয়ার পর বাড়ছে কি না। সে ক্ষেত্রে ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পাশাপাশি ইনহেলার নেওয়ার পদ্ধতি ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। অবশ্যই শিখে নিতে হবে। ওষুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এটা সে কীভাবে বাড়াবে, এর একটি পদ্ধতি আছে। সে নিজে রোগটা দেখে বাড়াতে কমাতে পারে। যদি দেখা যায় এই বাড়ানো-কমানোর পরও তার কষ্ট আরো বাড়ছে, এ ক্ষেত্রে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কোন জিনিসটি করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে, সেটা তার বুঝতে হবে।