শীতে হাঁপানি বা অ্যালার্জির সমস্যায় করণীয়
শীতে হাঁপানির বা অ্যালার্জির সমস্যা বেশ বেড়ে যায়। এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় কী?
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬০৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এম এ জলিল চৌধুরী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : শীতকালে হাঁপানি বা অ্যালার্জির সমস্যায় করণীয় কী?
উত্তর : আসলে সব করণীয় মানা সম্ভব নয়। যেই করণীয়গুলো মানা সম্ভব, সেগুলো হলো, শীতে এখন সন্ধ্যার সময় একটু গরম থাকে। কিন্তু শেষ রাতে শীত থাকে। সন্ধ্যা রাতে হয়তো বাচ্চা ঘুমিয়েছে। গরম লাগল, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিলেন। ঘুমিয়ে রইল বাচ্চাটি। শেষ রাতে যে প্রচণ্ড শীত লেগেছে আপনি খেয়াল করছেন না। গায়ে কাপড় দেওয়া হলো যদি প্রবণতা থাকে সর্দি, কাশি, হাঁপানি, তাহলে সেটি বেড়ে যেতে পারে।
শীতে তো সবাই আক্রান্ত। তবে বহু মানুষ দেখবেন রাস্তার পাশে শুয়ে আছে। তাদের কিন্তু সর্দি কাশি কিছুই হচ্ছে না। আবার আপনার আমার সন্তান হয়তো ঘরের মধ্যেই শুয়ে আছে, তার কিন্তু ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। এর কারণ হলো হাঁপানি অনেকটা বংশানুক্রমিক। বিশেষ করে শিশুদের হাঁপানি। যাদের বংশে এই প্রবণতা থাকে তাদের এই জিনিসটি হয়। তাদের বংশে কারো যদি হাঁপানি থাকে, তাহলে আপনি দেখবেন যে সামান্য তারতম্যের কারণে এই ঋতুতে তারা অল্পতেই হাঁপানিতে পড়ে। প্রথম কাজ হলো এই অবস্থা থেকে তাকে মুক্ত করা। যেন ঠান্ডা গরমের যেই পার্থক্য আছে, এর সঙ্গে সমন্বয় করতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো অতিরিক্ত ঠান্ডাতে বের না হওয়া। এরপর সকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করা। আর বাইরে বের হলে যেন নাকে মুখে ঠান্ডা না ঢুকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অ্যালার্জেন তো ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাতাসের মধ্যে অ্যালার্জি আছে। ফুলের রেণু, পরাগ এগুলো যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এগুলো অ্যালার্জি তৈরি করে। এগুলো থেকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। যদি খুব সমস্যা হয় অনেকে মাস্ক পরতে পারে। আর যেসব ঘরে বাচ্চাদের হাঁপানি আছে, তাদের ঘরে কার্পেট, পাপোস না থাকা ভালো। এগুলোর মধ্যে এক ধরনের জীবাণু থাকে যাকে মাইট বলা হয়। আসলে নিয়ম হলো ওই ঘরগুলো পারিষ্কার রাখা।
শীতকালে পুরোনো কাপড় না ধুয়ে ব্যবহার করলেও সমস্যা হতে পারে। কাপড় ধুয়ে পরতে হবে। কার্পেট পাপোস যেন ঘরে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা। ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় বা বিছানা পরিষ্কারের সময় এর আশপাশে যেন বাচ্চারা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আর যেই ওষুধগুলো চিকিৎসক দেন সেগুলো যেন নিয়মিত ব্যবহার করে। বিশেষ করে হাঁপানির শুরুতে।