বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা কী?
বন্ধ্যত্ব সমস্যা সমাধানের অনেক ভালো চিকিৎসা আমাদের দেশেই রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬২৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের আধুনিক চিকিৎসা কী?
উত্তর : সন্তান না হলে যখন দম্পতিরা আমাদের কাছে আসেন, তখন বন্ধ্যত্বের কারণগুলো নির্ণয় করার চেষ্টা করি। স্বামীর কোনো সমস্যা আছে কি না, সে জন্য স্বামীর কিছু পরীক্ষা করতে দিই বা স্ত্রীর কোনো সমস্যা আছে কি না, এর জন্য আমরা বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিই। এর পর সেই কারণকে আমরা যথোপযুক্তভাবে চিহ্নিত করি। কোনো কারণে আসলে এখানে সমস্যা হচ্ছে, সেটি দেখার চেষ্টা করি। সেই কারণ অনুযায়ী আমরা চিকিৎসার দিকে বেরিয়ে যাই। যদি দেখা যায় যে স্বামীর কোনো কারণে হয়ে থাকে, তাকে বেশি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, প্রথমত তাকে ওষুধ দিয়ে দেখা হয়। এর পর এটি না হলে ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। নারীদের যে কারণগুলোর মধ্যে বন্ধ্যত্বের আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে প্রথমেই যেটা হয়, ডিম্বাণু যদি ঠিকমতো তৈরি না হয়, ডিম্বাণু তৈরি না হওয়ারও অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যেটা আমরা বলে থাকি পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম। এ বিষয়ে যেটি দেখা যায়, আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে এখন ফাস্টফুড খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে, তখন এ ধরনের ডিম ফোটার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া আরো একটি রোগ আছে এন্ডোমেট্রোসিস। এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হয়। ডিম্বাণুর স্বল্পতা ছাড়াও, ডিম্বাণু যে পথে আসবে, সেই ডিম্বনালিতে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সংক্রমণের মাধ্যমে হতে পারে। যৌনবাহিত রোগের মাধ্যমে হতে পারে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার পরও কিছু রোগের মাধ্যমে হতে পারে। টিউবারকলোসিসের জন্য হতে পারে। সেগুলোর জন্য হতে পারে। আবার জরায়ুতে যদি কোনো টিউমার থাকে, এর কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে। অনেক কারণ বন্ধ্যত্ব রোগের সঙ্গে জড়িত। তখন সেই কারণগুলোকে বের করে। শুধু নারীরাই নয়, পুরুষদেরও অনেক কারণ যুক্ত থাকতে পারে। স্বামী-স্ত্রী সমভাবেই বাচ্চা হওয়ার জন্য দায়ী। সুতরাং দুজনকেই দেখে সেভাবে কথা বলে, এরপর আমাদের চিকিৎসার দিকে এগোতে হয়।