হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা কী?
হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা বিভিন্ন ধাপে হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৯২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এম জি আজম। বর্তমানে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আমরা কিছু শব্দ শুনতে পাই। এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, রিং বসানো, স্ট্যানটিং—এ বিষয়গুলো আসলে কী? হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় কীভাবে এগুলো ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : এগুলো হচ্ছে আধুনিক চিকিৎসারই ধাপ। এর সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এনজিওগ্রাম একটি পরীক্ষা। আমরা যে বলছি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, আসলে হার্টের রক্তনালির কোথাও না কোথাও বন্ধ হচ্ছে। চর্বি জমে পথটা সরু হয়ে গেছে। তখনই হার্ট অ্যাটাকটা হচ্ছে। এটি আমরা ধারণা করছি। একে নিশ্চিত করার জন্য আমরা এনজিওগ্রাম নামে পরীক্ষা করি। একটা এক্স-রে মেশিন থাকবে। আমরা রক্তনালির মধ্যে ডাই দিয়ে দেখব কোনো সমস্যা আছে কি না। এই পরীক্ষা পদ্ধতি হলো এনজিওগ্রাম। এটি কোনো চিকিৎসা নয়। এটা হচ্ছে কেবল একটি পরীক্ষা, হার্টে ব্লক আছে কি না এটি বোঝার জন্য।
এনজিওপ্লাস্টির ক্ষেত্রে তখন আমরা ওই পথে ক্যাথেডার দিয়ে, ওই জায়গায় বেলুন ফুলিয়ে চিকিৎসা করি।
আমরা স্ট্যানটিং করি। প্রথমে বেলুন ফুলিয়ে একে প্রসারিত করি। এরপর সেখানে রিং প্রতিস্থাপন করি। এরপর আবার বেলুন দিয়ে ফুলিয়ে আমরা দেখি ওটা ঠিক আছে কি না। যদি ১০০ ভাগ ঠিক থাকে, তাহলে আমরা বলি এটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আরেকটি যেটি বললাম সার্জারি, এনজিওগ্রাম করার পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটা কি একটি ব্লক, না দুটি ব্লক, নাকি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক? তাকে আমরা তখন বাইপাসের কথা বলি। আসলে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা বর্তমানে তিনটি। মেডিসিন দিয়ে একটি চিকিৎসা। ব্লক থাকলে তাকে খোলার জন্য আমাদের একটি চেষ্টা থাকে। এটা রিং অবস্থায় হোক বা বাইপাস করে হোক। আমরা স্ট্যানটিং বা অস্ত্রোপচার যাই করি না কেন, ওষুধ অবশ্যই খেয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশে সমস্যা হচ্ছে রোগীরা যেটা করে, রিং পরার পর বা বাইপাস করার পর আর ওষুধ খেতে চায় না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওষুধ হলো প্রধান। সেটা খোলা হলো সেটি নিয়মিত করতে হবে। নয়তো সে আবার একই সমস্যা নিয়ে ভর্তি হতে পারে।