শতকরা ৭০ ভাগ শ্বেতী রোগ ভালো হয়
শ্বেতী রোগের চিকিৎসার শুরুতে রোগীরা মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে শতকরা ৭০ ভাগ শ্বেতী রোগ ভালো হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চিকিৎসার শুরুতে রোগীরা কিন্তু কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এটি স্থায়ী একটি রোগ। রোগীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য আপনারা কীভাবে পরামর্শ দেন?
উত্তর : শ্বেতী রোগ জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ কোনো অবস্থায় নেবে না। এটা শুধু কসমেটিক ইস্যুই হতে পারে। অর্থাৎ দেখতে খারাপ। মানুষের চোখে ধরা পড়ে এবং সামাজিকভাবে সে কিছুটা আলাদা থাকতে চেষ্টা করে। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যখন এটি হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ভূমিকা অনেক বেশি।
চিকিৎসকের করণীয় হতে পারে তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। আরেকটি জিনিস আমি বলে রাখি শ্বেতী রোগের চিকিৎসা আছে। একেবারে যে ঠিক হবে না, সেটি নয়। শতকরা ৭০ জন শ্বেতী রোগের রোগী ভালো হয়ে যায় চিকিৎসার মাধ্যমে। শতকরা ৩০ জন রোগীর ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে, অথবা ভালো নাও হতে পারে। সুতরাং শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, যখনই এ রকম সন্দেহজনক সাদা রঙের দাগ দেখা দেবে, চিকিৎসকের কাছে যান। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা যায়, তত ভালো। হয়তো বা ভাগ্যবান ৭০ ভাগ রোগীর ভেতর পড়ে যায়। তখন তাড়াতাড়ি চিকিৎসার সফলতা অর্জন করা সহজ।