চোখের রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি কী?
চোখের পাওয়ারের বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধনের জন্য রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি করা হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৭৫তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আই হাসপাতালের গ্লুকোমা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রিফ্র্যাকটিভ এরোরের সমস্যা কী? এর কী কী ধরনের সার্জারি আপনারা করে থাকেন?
উত্তর : রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি নতুন একটি শব্দ। আমরা অনেকেই এই শব্দের সঙ্গে অতটা পরিচিত নই। আমাদের চোখের যে পাওয়ারটা লাগে, যার কারণে দূরে দেখি না, কাছে দেখি না- এগুলো রিফ্র্যাকটিভ এরোর। মায়োপিয়া, হাইপার মেট্রোপিয়া, নির্দিষ্ট এঙ্গেলে একটি পাওয়ার - এসব রিফ্র্যাকটিভ এরোর। এ ধরনের সমস্যা সার্জারির মাধ্যমে সমাধানকে বলে রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি। যেমন ধরুন, আমরা সবাই লেসিক সম্পর্কে জানি। কারো পাওয়ার যদি মাইনাস পাঁচ/ ছয়/ সাত থাকে, তাহলে লেসিক করে একে শূন্য করে ফেলতে পারেন। এই যে সার্জারি, এটি রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি। অর্থাৎ রিফ্র্যাকশনকে (ত্রুটি) ঠিক করার জন্য যে সার্জারি হচ্ছে সেটি রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি।
আবার দেখুন অনেকে কাছে কম দেখে। আমরা তাকে প্রেস বায়োপিয়া বলি। এর জন্য সার্জারি করা যায়। লেসিক করা যায়। এগুলো কিন্তু রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি।
সবচেয়ে মজার হলো আমরা সবাই জানি যে ছানি অস্ত্রোপচার হয়। এটিও কিন্তু রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি। কারণ, ছানি হয়ে গেলে তার চোখের পাওয়ারটা পরিবর্তন হয়ে যায়।
লেন্সটা ঘোলা হয়ে যায়। লেন্স ফেলে দেওয়ার পর চোখের পাওয়ারের আর কিছু থাকে না। তখন পাওয়ারকে ঠিক করার জন্য আমারা আরেকটি লেন্স যোগ করছি। এটিও কিন্তু রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি। চোখের দেখার জন্য পাওয়ারের তারতম্য হলে অথবা একটা সময় আমরা দেখতেই পাই না, সেগুলোর অস্ত্রোপচার করে একে ঠিক করে আবার দেখার উপযোগী করা হয়, এটিই রিফ্র্যাকটিভ সার্জারি।