চিকুনগুনিয়া-পরবর্তী জটিলতায় করণীয়
চিকুনগুনিয়া পরবর্তী জটিলতায় অনেক সময় আরথ্রাইটিস হয়। ব্যথা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৫৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামীম আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চিকুনগুনিয়ার পরবর্তী সমস্যায় কী করণীয়?
উত্তর : একিউট (তাৎক্ষণিক) পর্যায়ে কোনো একজন রোগী যদি জ্বর নিয়ে আসে, তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষার দরকার নেই। এই সময়টায় সে শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে। ডেঙ্গুতে যেটি হয়, জ্বর কমে যাওয়ার পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টাকে আমরা বলি ক্রিটিক্যাল (জটিল) অবস্থা। এই সময় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবেন। তবে ব্যথার ওষুধ অর্থাৎ এনএসআইডি জাতীয় ওষুধ খাবেন না। যেহেতু প্রথম দিকেই বোঝা যায় না এটি ডেঙ্গু না কি চিকুনগুনিয়া, তাই ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে। কারণ, ডেঙ্গুতে ব্যথার ওষুধগুলো সমস্যা করতে পারে। ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পর যখন বোঝা যাবে ডেঙ্গু নয়, তখন চিকুনগুনিয়ার জন্য ব্যথার ওষুধ খেতে পারবে। ব্যথার ওষুধ খেলে তীব্র ব্যথা থেকে সে মুক্তি পাবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
আমাদের দেশে প্রচলিত হলো ব্যথার ওষুধ না খাওয়া। আবার চিকিৎসকের কাছে যায় না অনেকে। পোস্ট ইনফ্লামেটোরি অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ব্যথার ওষুধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আর ব্যথার ওষুধ সময় অনুযায়ী খেতে হবে। ব্যথা হলো আর খেল – এমন হলে চলবে না। প্রথমে রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ নিয়মিত ব্যথার ওষুধ খেতে হবে।