রুট ক্যানেল চিকিৎসার পর যেসব বিষয় মেনে চলবেন
দাঁতের চিকিৎসা রুট ক্যানেল করার পর কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. খালেদা আক্তার। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট্রি অ্যান্ড অ্যান্ডোডন্টিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : রুট ক্যানেল শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকে কি?
উত্তর : আসলে আমরা যখন রুট ক্যানেল চিকিৎসা করি, তখন রোগী যখন আসে, বিভিন্ন পর্যায়ে আসে। কখনো কখনো ক্রাউন করা যায়। কখনো কখনো ক্রাউন করার পর্যায়ও যায় না। যত দিন পারি দাঁত যেন মাড়িতে থাকার পর্যায়ে থাকে, সেই চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে আমরা বলি, শক্ত হাড় যেন না খায়। পেয়ারার বিচি যেন কোনোভাবে কামড় না দেয়। এসব পরামর্শ দেই আমরা।
আসলে প্রাকৃতিক দাঁত তো একটু অন্যরকম। যখন এর রোগ হয়ে যায়,যখন এর চিকিৎসা করা হয়, তখন তো এর ব্যবস্থাপনা একটু করতেই হবে।
প্রশ্ন : রুট ক্যানেলের বিষয়টি একটু ব্যয় বহুল। সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে কি জিনিসটি করা সম্ভব?
উত্তর : যখন আমরা রুট ক্যানেল করি, এরপর যখন রেস্টুরেশন (পুনঃপ্রতিষ্ঠা) করি সেটি আসলে তেমন ব্যয়বহুল নয়। ওই দাঁত যদি এসট্রাকশন করে ফেলি, তখন পাশের দুটো দাঁত রুট ক্যানেল করে ব্রিজ করাটা ব্যয়বহুল। অথবা পাশের দুটো দাঁতে আমি কোনো চিকিৎসা করলাম না, ওই দুটো দাঁতে যদি আমি ইমপ্ল্যান্ট করি, সেক্ষেত্রে ব্যয়বহুল। আমাদের যখন যে দাঁত সমস্যা করবে, তখন সেটা রুট ক্যানেল করে রেস্টুরেশন করাটাই কিন্তু কম খরচের।
দাঁতের চিকিৎসাটাই এই রকম। যত দিন যায়, তত অবস্থাটা খারাপ হয়, তত ব্যয়বহুল হয়ে যায়। তাই শুরুতে চিকিৎসা করা ভালো।