ডেঙ্গু জ্বরে থরথর হন্ডুরাস
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/07/26/photo-1564121161.jpg)
গত ৫০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে নাজেহাল হন্ডুরাস। মধ্য আমেরিকার দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলো ভরে গেছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীতে। ৩২টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ২৬টিই নির্ধারিত বেডের চেয়ে অতিরিক্ত রোগীতে বোঝাই।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর দেশটিতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ২৮ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে মারা গেছে ৫৪ জন, যার বেশিরভাগই শিশু।
ডেঙ্গু জ্বর মোকাবিলায় দেশটিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বসতবাড়ি ও অফিস ভবনে গ্যাস ছড়িয়ে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসবাহী এডিস মশা নিধন কার্যক্রম চালু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তবুও কমছে না ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়াদের সিংহভাগই ডেঙ্গু জ্বরের রোগী।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের মুখপাত্র মার্কো অ্যান্টোনিও রোডাস বলেন, ‘হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সব কাজ বাদ দিয়ে কেবল জরুরি অবস্থার দিকে নজর দিতে হচ্ছে। ২০ বছর হলো এখানে কাজ করছি, এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি।’
রোডাস আরো জানান, গত এক সপ্তাহে তাঁর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ৫৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৮। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনকদের রাজধানী তেগুচিগালপা ইউনিভার্সিটি হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
অতিরিক্ত রোগীদের স্থানীয় বিদ্যালয় ভবনে রাখার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান রোডাস।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট হুয়ান ওরল্যান্ডো হারনান্দেজ গত সোমবার দেশের ২৯৮টি পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করে মহামারি মোকাবিলায় বিশেষ তহবিল ঘোষণা করেন।
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে অনতিবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দিয়েছেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট। মশা নিধনে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে দেশটির গির্জা, গণমাধ্যম ও ব্যবসায়ী নেতারা।
কিন্তু আসন্ন তিন মাসের বর্ষা মৌসুমের মুখে এডিস মশার আবাসস্থল নির্মূলে হন্ডুরাস কতখানি সফল হবে, সে আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।