প্রায় ৭ কোটি ডলারের চুক্তি করেও একটি ভেন্টিলেটর পাননি ট্রাম্প
গত ২৭ মার্চ ঘটনার সূত্রপাত। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলো করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগীতে ভরে যাচ্ছিল। জরুরি বিভাগে ভর্তি রোগীদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের টুইটারে লেখেন, ‘ভেন্টিলেটর তৈরি করা শুরু করা হোক এখনই।’
দেশের গুরুতর বিপদ বুঝতে পেরে বহু মানুষ সাড়া দেন ট্রাম্পের সে টুইটে। হাজার হাজার প্রত্যুত্তরের মধ্যে একটি ছিল, ‘আমরা আইসিউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করতে পারি। আমাকে কেউ জরুরিভিত্তিতে ফোন করুন।’
টুইটটি করেছিলেন সিলিকন ভ্যালির তড়িৎ প্রকৌশলী ইয়ারন ওরেন পাইনস নামের এক ব্যক্তি। মোবাইল ফোন প্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শী তিনি। কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্যসামগ্রী সরবরাহে তাঁর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাই নেই।
কিন্তু ঠিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানা যায়, ওরেন পাইনস মোট এক হাজার ৪৫০টি ভেন্টিলেটর তৈরির জন্যে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে ৬৯ দশমিক ১ মিলিয়ন (৬৯১ লাখ বা ছয় কোটি ৯১ লাখ) মার্কিন ডলার পেয়েছেন। প্রতিটি ভেন্টিলেটরের দাম পড়ে ৪৭ হাজার ৬৫৬ মার্কিন ডলার, যা বাজারদরের তিনগুণ। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে পানি অনেক গড়িয়েছে। বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত অন্তত ৬১ হাজার মানুষ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ইয়ারন ওরেন পাইনসের কাছ থেকে একটি ভেন্টিলেটরও পায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
নিউইয়র্কের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার জানান, হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওরেন পাইনসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে। কিন্তু সে চুক্তির শর্তাবলী প্রকাশ্যে বলা মানা।
এরই মধ্যে ওরেন পাইনসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে অর্থ উদ্ধারের চেষ্টায় নেমেছে নিউইয়র্ক প্রশাসন। ওদিকে সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে চাননি ওরেন পাইনস।