১০০ কোটি মানুষের টয়লেট নেই!
বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মানুষের জন্য কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তারা খোলা স্থানকে বেছে নেয়। এ ছাড়া ২৪০ কোটি মানুষ টয়লেট ব্যবহার করলেও তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এসব কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নানা রোগের প্রকোপ।
আগামী ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রচারণার অংশ হিসেবে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার না করার কারণে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টির হার বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা জরুরি বলেও মত জাতিসংঘের।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, ‘বিশ্বের প্রতি তিনজন নারীর একজন নিরাপদ শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পান না। যে কারণে তারা প্রাকৃতিক কাজ সারার জায়গা খুঁজতে যেমন লজ্জার সম্মুখীন হন, তেমনি নানা অসুখে ভোগেন।’
বিশ্বের এমন সব শৌচাগারের বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেখানে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে কতটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন মানুষ।
লেবাননের বেক্কা ভ্যালিতে সিরিয়ার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে দেখা যায়, বসবাসের তাঁবুর কাছেই ঢেউখেলানো দেয়াল দিয়ে কোনোরকমে তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার। এ ছাড়া চিলি, আইভরি কোস্ট, ভারতের ছত্তিশগড়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি থাকলেও অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং দুর্বল অবকাঠামোর কারণে প্রতিবছর লাখো মানুষ বিশেষত শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ না থাকাই এসব মৃত্যুর কারণ।
বিবৃতিতে বান কি মুন বলেন, ‘নৈতিকভাবেই আমাদের উচিত নারী ও শিশুদের শৌচকর্মের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা। যাতে করে ভালো শৌচাগারের অভাবে তাদের হামলা বা ধর্ষণের শিকার না হতে হয়।’