ভারতে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার করোনার টিকা পেলেন নারী
করোনার টিকা নিতে নিকটস্থ কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের এক নারী। নিয়ম মেনে পেয়েছেন টিকা। তবে একটি কিংবা দুটি নয়, মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তাঁকে দেওয়া হয়েছে করোনার টিকার তিন ডোজ।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, এমন অভিযোগ সামনে আসায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশটিতে। শুরু হয়েছে তদন্তও। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকায়।
সেখানকার পৌর করপোরেশনে আনন্দনগর টিকাকেন্দ্রে করোনার টিকা নিতে স্বামীসহ গিয়েছিলেন ওই নারী। তাঁর অভিযোগ, নিয়ম মেনে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তিনি সেখানেই বসে ছিলেন। তাঁকে কেউ চলে যেতে বলেননি। এরপর সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে আবারও টিকা দেন। এভাবে একদিনে করোনার টিকার তিন ডোজ দেওয়া হয় তাঁকে।
ওই নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি তাঁকে কোন কোম্পানির করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে সেটাও জানায়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌর মেয়র নরেশ মহসেকে বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি এবং ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং অন্যান্য সহায়তাও দিয়েছি। আমি ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ করছি। টিকার তিনটি ডোজ তিনি নিয়েছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে ইনজেকশনের চিহ্ন রয়েছে।’
এ বিষয়ে চিকিৎসক খুশবু তাভরি বলেন, ‘খবরটি শোনার পরপরই আমরা ওই নারীকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। দুবার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। এ ঘটনায় টিকাকেন্দ্রে দায়িত্বরত সেবিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১৬ জুন ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা জেলার আওয়াধপুর গ্রামের বাসিন্দা সুনীলা দেবীকে (৬৩) পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১৬ জুন স্থানীয় একটি স্কুলে বসানো স্বাস্থ্য শিবিরে টিকা নিতে গিয়েছিলেন সুনীলা দেবী। সেখানেই তাঁকে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়।
১৯ জুন আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সুনীলা দেবীকে প্রথমে কোভিশিল্ড টিকা ও পরে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়। বলা হচ্ছে, তাঁকে ‘ভুল করে’ পরপর দুবার দুই কোম্পানির টিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে একটি মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
জানা গেছে, ওই স্কুলের একটি রুমে এক লাইনের লোকদের কোভিশিল্ড ও অন্য লাইনের লোকদের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছিল। আর রুমের বাইরে সবার নাম নথিবদ্ধ করা হচ্ছিল।