আবার শুরু হয়েছে গঙ্গা-যমুনা উৎসব
দীর্ঘ বিরতির পর আবার শুরু হয়েছে গঙ্গা-যমুনা উৎসব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে উপজীব্য করে এবারে সাজানো হয়েছে ১২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।
উৎসবের ষষ্ঠ দিনে গত শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতির আবৃত্তি প্রযোজনা ‘সবুজ করুণ ডাঙায়’।
আবৃত্তিকার মীর মাসরুর জামান রনির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় প্রয়োজনাটিতে অংশগ্রহণ করেছেন মো. আহকাম উল্লাহ, মীর মাসরুর জামান রনি, আশরাফুল আলম রাসেল, শেগুফতা ফারহাৎ সেঁজুতি, শাহ আলী জয়, জোবায়ের মিলন প্রমুখ।
প্রযোজনার কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন শামীম শেখ, তাসলিমা শিমু, অর্থী, সুরাইয়া আফরিন উপমা। মঞ্চসজ্জায় ছিলেন মেজবাহ বিশ্বাস, দলিল, রিমু, ভারতী হালদার। প্রযোজনাটির নেপথ্যে কাজ করেছেন লিনুন ওয়ার্দী ধী, লাইয়িন লাবিবা লীন, রাইফা ফাতেমাসহ অনেকে।
উপস্থাপনাটির মূল ভাষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে মুক্ত হয় হাজার বছরের সংগ্রামের এ দেশ। লাখো মানুষ অকাতরে হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে গেল আগামী প্রজন্ম ও আমাদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য। এই স্বাধীনতা অর্জনে তাদের অবদান যুদ্ধ আর গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া আমাদের সবার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের মানুষের জীবনের যুদ্ধ। শুধু অস্ত্র দিয়ে নয়, দেশের মানুষ তার আত্মা দিয়ে এ যুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এক জন্মযুদ্ধ। কেউ যুদ্ধ করেন ময়দানে, কেউ রান্নাঘর, জায়নামাজ, তুলসিতলায়। শহীদ রুমী, আজাদ, বদি, মিরাশের মা হয়ে উঠেন দেশের মা। তাঁরা যেমন এই দেশের, তেমনি এই দেশের মাটি তাদের সন্তান। তাঁরা কোথাও যান না। তাঁদের সত্যিকারের সন্তানেরাও না। ভৌগলিকভাবে কখনও হলেও, মনে-মননে কখনই না।’
প্রযোজনাটি দেখতে সাধারণ দর্শকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পী ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত আবৃত্তিকর্মীরা।