জার্মানিকে কাঁদিয়ে ইউরোর শেষ আটে ইংল্যান্ড
‘ডি’ গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে দুটি জয় ও একটি ড্রসহ সাত পয়েন্ট নিয়ে নকআউট রাউন্ডে উঠেছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ‘গ্রুপ অব ডেথ’ তকমা পাওয়া এফ-গ্রুপের জার্মানি নিজেদের তিন ম্যাচের একটিতে জিতে, একটি ড্র করে এবং একটি ম্যাচে হেরে নকআউট রাউন্ডে জায়গা করে নেয়। নকআউটে ইউরো কাপ ২০২০-এর কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামে দুদল। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন হ্যারি কেইনরা। এতে ইংলিশদের ইউরো জেতার স্বপ্নে আরও খানিকটা রঙ লাগল।
অন্যদিকে, এই প্রথমবার কোনো বড় টুর্নামেন্টের প্রি-কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিতে হলো জার্মানিকে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে ঘরের মাঠে খেলা ইংল্যান্ড। ষোল মিনিটের সময়ই এগিয়ে যেতে পারত তারা। সুযোগ পেয়েছিলেন রাহিম স্টারলিং। মাঝমাঠ থেকে উঠে এসে সরাসরি গোলে শট নেন তিনি। বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে সে শট রুখে দেন জার্মানির নয়্যার। কর্নার থেকেও দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। ফাঁকায় সুযোগ পেয়েও গোলে জোরালো হেড করতে পারেননি তিনি। এরপর, ম্যাচের ৩২ মিনিটে সুযোগ পায় জার্মানি। কাই হাভাৎসের থ্রো থেকে টিমো ওয়ার্নার বল ধরলে সামনে কোনো ডিফেন্ডার ছিলেন না। সে যাত্রে এগিয়ে এসে তাঁর শট বাঁচান পিকফোর্ড।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। স্টারলিং বল নিয়ে ঢুকতে গেলে তিন ডিফেন্ডার বাধা দেন। বল ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে হ্যারি কেইনের কাছে যায়। কিন্তু, কেইনের প্রথম টাচ ভালো না হওয়ায় ম্যাট হুমেলস বল ক্লিয়ার করে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণ করতে থাকে জার্মানি। কাই হাভাৎসের বাঁ -পায়ের ভলি দারুণ দক্ষতায় বাঁচান পিকফোর্ড। বারবার আক্রমণ করলেও গোল করতে পারেনি জার্মানি।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে গোল করেন স্টারলিং। তাঁর পা থেকেই শুরু হয় আক্রমণ। বাঁ-দিক থেকে লুক শ সেন্টার করেন। সেখান থেকে স্টারলিং এই প্রতিযোগিতায় তাঁর তিন নম্বর গোলটি পেয়ে যান। ম্যানুয়েল নয়্যারের কিছু করার ছিল না। শুরু থেকেই স্টারলিং ছিলেন আক্রমণাত্মক। ম্যাচের ৮২ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন টমাস মুলার। তাঁর শট অল্পের জন্য বাইরে যায়।
এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আবারও গোল পায় ইংল্যান্ড। এবার অধিনায়ক হ্যারি কেইন গোল করেন। গ্রেলিশের ক্রস থেকে গোল করেন তিনি।