রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জিতেও বাদ চেলসি, সেমিফাইনালে রিয়াল
প্রথম লেগে অনেক ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পরেও চেলসির কোচ টমাস তুখেল বলেছিলেন—অসম্ভবকে সম্ভব করতে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেবে চেলসি। ম্যাচেও যেন তাই হলো।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করেছে চেলসি। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে রোমাঞ্চও ছড়িয়েছে। জয় এসেছে চেলসির। কিন্তু, জিতেও ব্যবধান না বাড়াতে পারায় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো গেলবারের চ্যাম্পিয়নদের। চেলসিকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে চেলসি। তবে, প্রথম লেগে চেলসির মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল। ওই জয়ই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
রিয়ালের মাঠে আক্রমণ, বল দখল, দাপট—সব দিকেই এগিয়ে ছিল চেলসি। উপহার দিয়েছে দারুণ ফুটবল। ম্যাচের ৫৭ ভাগ সময় বল দখলে রেখে ২৮ বার আক্রমণে যায় চেলসি। যার মধ্যে সাতটিই ছিল অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। কিন্তু, চেলসি লক্ষ্যে পাঠাতে পেরেছে তিনটি। বিপরীতে ১০ বার আক্রমণ করে দুটি গোল আদায় করতে পেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্নাব্যুর দর্শকদের স্তব্ধ করে ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি। সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ছুটে গিয়ে প্রথম ছোঁয়ায় দলকে এগিয়ে নেন মেসন মাউন্ট।
এরপর বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে চেলসি। ৫১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইনে সমতা টানে শিরোপাধারীরা। দ্বিতীয় গোলটি করেন টিমো ভেরনার। এরপর ৭৫ মিনিটে আরেকটি গোল। এবার স্কোরলাইন ৩-০ করে সেমির পথেই হাঁটে তারা।
কিন্তু, শেষ দিকে ঘটে যায় অঘটন। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে করিম বেনজেমা ও রুডিগার গোলে প্রাণ ফিরে রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়ালের এ অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোই কাল হয়ে দাঁড়ায় চেলসির। শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থেকে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যায় টমাস তুখেলের দল।