ঘরের মাটিতে প্রথমের খোঁজে ইংল্যান্ড
ক্রিকেটের জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ইংল্যান্ডের হাত ধরেই যে খেলাটির দেহ কাঠামো বড় হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। আধুনিক ক্রিকেটের হৃষ্টপুষ্টতায় সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে দেশটি। তবে ক্রিকেটের বড় আসরে তেমন কোনো সাফল্য নেই ইংল্যান্ডের। সবেধন নীলমণি সাফল্য বলতে, ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ১৯৭৫ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আবিভার্বের পর বৈশ্বিক আসরে তেমন বড় কোনো সফলতা পায়নি ইংল্যান্ড দল। তাই ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাটাই এখন পর্যন্ত একমাত্র স্মৃতিস্মারক হয়ে রয়েছে।
আর একদিন বাদে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল পর্ব। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় দুইবার ফাইনালে গেলেও শিরোপা জেতা হয়নি দলটির। চারবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে কেবল একবারই ফাইনালে উঠতে পেরেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি। টানা দ্বিতীয়বার সব মিলিয়ে তৃতীয় মেয়াদে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করছে দলটি। এবার নিজেদের মাঠে কি শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে দলটি?
১৯৭৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর পর টানা তিনবার ইংল্যান্ডে বসে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। প্রথম আসরে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় স্বাগতিকরা। পরেরবার ফাইনালে উঠলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে শিরোপা খুইয়ে বসে তারা। তৃতীয় আসরেও সেমিফাইনালেই বিদায় ঘন্টা বেজে যায় দলটির। পরের আটটি আসরে আর একটিতেও ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড।
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর পর ২০০৪ ও ২০১৩ সালে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের লোয়ার অর্ডারের কাছে শিরোপা খুঁইয়ে বসে দলটি। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বশেষ আসরে ইংল্যান্ড ফাইনালে হেরেছে ভারতের কাছে।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ডে বসেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। এবারের ইংল্যান্ড দলটিও অন্য সব আসরের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে রয়েছেন জস বাটলার, অ্যালেক্স হ্যালেস, স্যাম বিলিংসদের মতো ব্যাটসম্যানরা। জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টোদের সমন্বয়ে গড়া মিডল অর্ডারটা তো এবারের আসরের সেরা। বল হাতে ক্রিস উকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, জ্যাক বলরাও কম যান না। আর অলরাউন্ডার বেন স্টোকস তো রয়েছেনই।
সব মিলিয়ে এবারের আসরে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ডের। ব্রায়ান লারা, কুমার সাঙ্গাকারার মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিরা তো আগ বাড়িয়ে বলেই দিয়েছেন যে, এবার শিরোপা জিতবে ইংল্যান্ড। হোম কন্ডিশন, পরিচিত মাঠ, ক্রিকেটারদের দারুণ ফর্ম সব মিলিয়ে লারা-সাঙ্গাদের কথাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

স্পোর্টস ডেস্ক