বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছে রাজশাহী কিংস। দলটির সবচেয়ে বড় তারকা মুশফিকুর রহিম এর আগে ছয় ম্যাচে একরকম ব্যর্থই ছিলেন। সে ম্যাচগুলোতে তাঁর সবচেয়ে বড় ইনিংস ছিল সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে, ২৫ রান। শুধু তিনিই নন, ব্যর্থ ছিল তারা দলও। গত ছয় ম্যাচ থেকে মাত্র চার পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজশাহী। তবে সপ্তম ম্যাচে মুশফিক জ্বলে উঠেছেন দারুণভাবে। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে তাঁর দলও ভালো সংগ্রহ গড়েছে, ১৬৬ রান।
 
আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে মুশফিক ৩৩ বলে ৫৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল। পেসার আবু জায়েদ রাহির শিকার হয়ে সাজঘরে না ফিরলে ইনিংসটি আরো বড় করতে পারতেন তিনি। মুশফিকের এই সাফল্যে রাজশাহী জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে।  
 
অবশ্য এর আগে প্রায় সবকটি ম্যাচেই তাঁর পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই হতাশাজনক। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ১১ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষেও ছিল একই সংগ্রহ। আর তৃতীয় ম্যাচে আবার রংপুরের বিপক্ষে মুখোমুখি তাঁর দল। সে ম্যাচে একেবারেই ব্যর্থ হন রাজশাহীর আইকন খেলোয়াড়, শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।
 
এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ১৬, সিলেটের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫ ও ঢাকা ঢায়নামাইটসের বিপক্ষে মাত্র ২ রান করেন মুশফিক। সপ্তম ম্যাচে ব্যাট হাতে সাফল্য পেলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক।
 
অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যথেষ্টই ভালো। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দল খুব একটা ভালো করতে না পারলেও মুশফিক ছিলেন উজ্জ্বল। ওয়ানডে সিরিজে তিনি একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফসেঞ্চুরি করেন। অবশ্য সে সিরিজের দুটি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে তিনি খুব একটা ভালো করতে পারেননি।