৫০৩ রানের উদ্বোধনী জুটি!
৫২টি ওয়ানডে খেললেও এখনো টেস্ট অভিষেক হয়নি অ্যারন ফিঞ্চের। রায়ান কার্টার্সের তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই অভিষেক হয়নি। অথচ এই দুজনের কাছেই নাজেহাল নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের পক্ষে প্রায় দেড় দিন ব্যাটিং করে ৫০৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন ফিঞ্চ-কার্টার্স, যা একটি রেকর্ড। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ডটা ছিল আর্নি মেইন ও বিল পন্সফোর্ডের দখলে। ১৯২৩-২৪ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ৪৫৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচে অনায়াসেই ডন ব্র্যাডম্যানের সতীর্থ পন্সফোর্ড আর মেইনকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ১২১ ওভার অবিচ্ছিন্ন থাকা ফিঞ্চ-কার্টার্স। দ্বিশতক করেছেন দুজনই।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার জন্য ১০ জন বোলার ব্যবহার করেছেন কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। অবশেষে দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে সাফল্য পেয়েছে অতিথি দল। অনিয়মিত মিডিয়াম পেসার টম লেইথামের বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টার্স। তাঁর ৩৬৪ বলে গড়ে ওঠা ২০৯ রানের দারুণ ইনিংসে ছিল ১৮টি চার। তবে কার্টার্সের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলেন ফিঞ্চ। এই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের ৩৬৩ বলে ২৮৮ রানের ইনিংসটা সাজানো ছিল ২৪টি চার ও সাতটি বিশাল ছক্কায়।
৫০৩ রান করে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রেকর্ড গড়লেও একটুর জন্য বিশ্বরেকর্ড করতে পারেননি ফিঞ্চ ও কার্টার্স। আর ৫৯ রান করতে পারলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন তাঁরা। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫৬১ রানের জুটি গড়ে রেকর্ডটা প্রায় চার দশক নিজেদের দখলে রেখেছেন ওয়াহিদ মির্জা ও মনসুর আখতার।
শুধু রেকর্ডই গড়েননি, একটানা ব্যাটিং করে সিডনির ব্ল্যাকটাউন ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস পার্কের পিচের অবস্থাও বেহাল করে দিয়েছেন ফিঞ্চ-কার্টার্স। শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নবিরতির সময় পিচ পর্যালোচনা করে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা।
নিউজিল্যান্ড যেন টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে, সে জন্য বিকল্প উদ্যোগ নিতে হচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ)। এক বিবৃতিতে সিএর ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান শন কেরি বলেছেন, ‘এ সপ্তাহের শুরুতে সিডনির বাজে আবহাওয়ার কারণে উইকেট প্রস্তুতিতে গলদ থেকে গেছে। এখন আমরা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নিচ্ছি।’
আগামী ৫ নভেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।