নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ‘সোনালি গ্রীষ্ম’
দারুণ একটা মৌসুম কাটছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের। শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি তিনটি সিরিজেই হারিয়েছে কিউইরা। পাকিস্তানের বিপক্ষেও দারুণ সাফল্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। রোববার বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে তিন উইকেটে জয় পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়ের ব্যবধান ২-০। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে হারালেও মার্টিন গাপ্টিল আর কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড জুটি জয় এনে দিয়েছে কিউইদের। অবশ্য বৃষ্টির কৃপাও কম পায়নি স্বাগতিক দল।
চোট কাটিয়ে প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পর মাঠে ফিরে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছেন ম্যাককালাম। মোহাম্মদ আমিরের বল হুক করে মাঠের বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। কিন্তু বেশ কিছুটা দৌড়ে লং লেগে দারুণ দক্ষতায় ক্যাচটা তালুবন্দি করেছেন মোহাম্মদ ইরফান।
তবে অন্য ওপেনার গাপ্টিল (৮২) আর তিন নম্বরে নামা উইলিয়ামসনের (৮৪) দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। ওয়ানডেতে এটাই নিউজিল্যান্ডের সেরা দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
৩৬তম ওভারে বৃষ্টি নামার সময় স্কোর ছিল ২১০/৫। বৃষ্টি শেষে খেলা আবার শুরু হওয়ার পর লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ২৬৩ রান। মানে তখন ৪৫ বলে ৫৩ রান প্রয়োজন নিউজিল্যান্ডের। কোরি অ্যান্ডারসনের ২৯ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস দুই বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে কিউইদের। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আমির ও অধিনায়ক আজহার আলী।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজ (৬০ বলে ৭৬) ও বাবর আজমের (৭৭ বলে ৮৩) দুটো আক্রমণাত্মক ইনিংসের সুবাদে ৩০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে ফেলেছিল পাকিস্তান। ইডেন পার্কে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৩৪০ রানের রেকর্ড তখন হুমকির মুখে।
কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তিনশও করতে পারেনি পাকিস্তান, ১৫ বল আগেই অলআউট হয়ে গেছে ২৯০ রানে। ৪৯ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিল্ন। দুটি করে উইকেট নতুন বলের সঙ্গী ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরির।