টি-টোয়েন্টিতে ভারত এগিয়ে
এশিয়া কাপে বরাবরই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। ১১টি ম্যাচের মধ্যে দুই দলই জিতেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। একটি পড়েছে পরিত্যক্তর খাতায়। তবে এবার প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন অনেকে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের চেয়ে ভারত সত্যিই এগিয়ে আছে বেশ খানিকটা।
এখন পর্যন্ত ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। পাকিস্তান জিততে পেরেছে মাত্র একবার। তবে ম্যাচ শেষে ফলাফল যা-ই হোক, জমজমাট একটি লড়াইয়ের আশা করতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। টি-টোয়েন্টির প্রায় প্রতিটি মুখোমুখি লড়াইয়েই উত্তাপ ছড়িয়েছেন দুই দেশের ক্রিকেটাররা।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষ হয়েছিল টাই দিয়ে। টাইব্রেকারের মতো বোল আউটে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। সেবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এবং অনেক নাটকীয় মুহূর্তের পর ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল ভারত।
২০০৭ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে ভারত-পাকিস্তান আবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের অন্যান্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও শেষ হাসিটা হেসেছিল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে ভারত-পাকিস্তানের এই ম্যাচটা শেষ হয়েছিল একতরফাভাবে। ১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারের মধ্যেই দুইটি উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছিল ভারত।
২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান খেলেছে আরো দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দুই ম্যাচের এই সিরিজেও দেখা গেছে দারুণ আকর্ষণীয় লড়াই। সিরিজটাও শেষপর্যন্ত শেষ হয়েছিল ১-১ ব্যবধানের সমতা দিয়ে। প্রথম ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে পাকিস্তান পেয়েছিল পাঁচ উইকেটের জয়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য তাদের মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ১১ রানের হার নিয়ে।
২০১২ সালের পর দুই বছরের বিরতিতে ২০১৪ সালে আবার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। বিশ্বকাপের ম্যাচে বরাবরের মতো জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন ভারতের ক্রিকেটাররা। ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত পেয়েছিল সাত উইকেটের সহজ জয়।

স্পোর্টস ডেস্ক