আইসিসির সেরা দশে সৌম্যের সেই ক্যাচ

ব্যাট হাতের ব্যর্থতার জন্য বেশ সমালোচনায় ছিলেন তিনি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েও প্রশ্নের মুখে ছিলেন সৌম্য সরকার। সেই তাঁকেই ফিল্ডিংয়ে দেখা গেল বেশ উজ্জ্বল। শুধু তাই নয়, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
সৌম্যের সেই অবিশ্বাস্য ক্যাচটি এবারের বিশ্বকাপের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর সেই ক্যাচ আছে এখন পর্যন্ত ষষ্ঠ স্থানে।
শুধু সৌম্যের সেই ক্যাচই নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের একটি ক্যাচ সেরা দশে আছে, নবম স্থানে। গত ২১ মার্চ সুপার টেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গত ২৩ মার্চ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে না নেমে তরুণ পেসার হার্দিক পান্ডেকে পাঠান। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি পান্ডে। পেসার আল আমিন হোসেনে বলে সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত একটি ক্যাচে সাজ ঘরে ফিরে যান তিনি। সে ম্যাচের ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আল আমিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি ধরেন সৌম্য।
তা দেখে ধারাভাষ্যকাররাও বলতে বাধ্য হয়েছেন, এ কী ক্যাচ নিলেন সৌম্য! আসলেও তাই দারুণ একটি ক্যাচ ধরে তিনি ভারতের সচল রানে চাকা কিছুটা হলেও দমিয়েদিয়েছিলেন। অবশ্য সে ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র এক রানে হেরেছিল।
শুধু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই নয়, এর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজের অবিশ্বাস্য একটি ক্যাচ ধরে ক্রিকেটবোদ্ধাদেরও প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এটি ১২তম সেরা ক্যাচ।
অবশ্য সৌম্য এমন ক্যাচ এবারই প্রথম ধরেননি। গত জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দারুণ একটি ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে বলেই হয়তো অনেকেরই চোখ এড়িয়ে গেছে তাঁর সেই দারুণ ক্যাচটি।