শিরোপা থেকে ১৫৬ রান দূরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন। শিরোপাজয়ের অন্তিম লড়াইয়েও সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই খেলতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শুরুতে বোলিং করে বেশ ভালো অবস্থানও তৈরি করে নিয়েছেন ড্যারেন স্যামিরা। দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ের উল্লাসে মেতে উঠতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৫৬ রান।
দারুণ ফর্মে থাকা জো রুট, জস বাটলার ও ডেভিড উইলি ছাড়া আর কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন রুট। ৩৬ রান এসেছে বাটলারের ব্যাট থেকে। আর ১১১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ডেভিড উইলির ২১ রানের ছোট্ট ইনিংসটির সুবাদেই স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রান জমা করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ডোয়াইন ব্রাভো ও কার্লোস ব্রেথওয়েট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে প্রায় একাই জিতিয়েছিলেন রয়। কিন্তু ফাইনালে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিতে হয়েছে এই ডানহাতি ওপেনারকে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই স্যামুয়েল বদ্রির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন রয়। পরের ওভারে আরেক ওপেনার হালেসকে সাজঘরমুখী করেছেন আন্দ্রে রাসেল। পঞ্চম ওভারে আবার আঘাত হানেন বদ্রি। এবার ফেরান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ওয়েন মরগানকে (৫)। চতুর্থ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন দারুণ ফর্মে থাকা জো রুট ও জস বাটলার। ১২তম ওভারে এই জুটি ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে স্বস্তি ফেরান কার্লোস ব্রেথওয়েট। ৩৬ রান করে ফিরে যান বাটলার। জো রুট অবশ্য চালিয়েই যাচ্ছিলেন দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং। কিন্তু ১৪তম ওভারে ইংল্যান্ডকে জোড়া ধাক্কা দেন ডোয়াইন ব্রাভো। টানা দুই বলে তুলে নেন বেন স্টোকস ও মইন আলীর উইকেট। দ্রুত রান সংগ্রহ করার তাগিদে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে পরের ওভারেই আউট হয়ে যান রুট। তবে তার আগে তিনি খেলেছেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের লড়াকু ইনিংস। শেষপর্যায়ে উইলির ২১ ও ক্রিস জর্ডানের ১২ রানের ছোট ইনিংস দুটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রান জমা করেছে ইংল্যান্ড।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা দুইবার জিততে পারেনি কোনো দল। এবার অনন্য এই রেকর্ড গড়ার সুযোগ এসেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। শিরোপাজয়ের অন্তিম লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হয়েছে ওয়েন মরগান ও ড্যারেন স্যামির দল।
এবারের আগে দুই দলই একবার করে ফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১০ সালের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর ২০১২ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও পরিসংখ্যানের বিচারে কিছুটা এগিয়েই আছে উইন্ডিজ। আজকের আগে ১৩টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৯টিতেই। আর ইংল্যান্ড জিতেছিল চারটি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কখনোই হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। চারবার মুখোমুখি হয়ে হেরেছে সবগুলোতেই। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৬ উইকেটে।