বাবার জন্য গ্যালারিতে হাজির ছোট্ট ওয়াফিক
বয়স সবে তিন শেষ হয়েছে। তবে,ক্রিকেট নিয়ে এখনই তার উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। থাকবেই বা না কেন? ছোট্ট ওয়াফিক যে ক্রিকেটার বাবার ছেলে। বলছি মেহেদী হাসান মিরাজের একমাত্র ছেলে মুদ্দাসসির হাসান ওয়াফিকের কথা। বাবার খেলা দেখতে যে বাংলাদেশ থেকে উড়ে এসেছে পাশের দেশ ভারতে। পরিবারসহ বাবাকে সাপোর্ট দিতে হাজির ইডেনের গ্যালারিতে।
বাংলাদেশের ইনিংস তখন শেষ। রান তাড়া করতে নেমেছে পাকিস্তান। ঠিক তখনই ইডেনের ক্লাব হাউজ গ্যালারির আপার টায়ারে তাকাতে নজর পড়ল ওয়াফিকের দিকে। এক পাশে মা রাবেয়া প্রীতি, আরেক পাশে নানি বসে। মাঝে ওয়াফিক। সামনের সারিতেই বসে দাদা-দাদিসহ পরিবারের বাকিরা। আছেন ফুফা-ফুফিও।
সবমিলিয়ে ওয়াফিক খেলা দেখছে খোশ মেজাজে। কাছে যেতেই প্রশ্ন করলাম বাবাকে দেখেছো? হাত দিয়ে ইশারা করে দেখাল—ওই যে বাবা। ওই সময় মিড অনের একটু কাছে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছেন মিরাজ।
পাল্টা প্রশ্ন কেমন লাগছে খেলা দেখতে? ছোট ওয়াফিক সেভাবে উত্তর গুছিয়ে না দিতে পারলেও বোঝা যাচ্ছিল চোখে-মুখে খুশির উচ্ছ্বাস। কখনও হাতে তালি দিচ্ছিল, কখনও বা গানের তালে তালে নাচছিল। মাঠে বাবা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন, গ্যালারিতে ছেলে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছিল।
কিন্তু, ম্যাচ শেষে হয়ত এই আনন্দ হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। ছোট ওয়াফিক হয়ত জয়-পরাজয়ের হিসেব বুঝবে না। কিন্তু বাবার চোখে ভাসবে বিষাদের চিত্র। কেননা, মিরাজের দল নেই স্বস্তিতে। টানা হারের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ দিশেহারা পাকিস্তানের বিপক্ষেও।
যথারীতি ব্যর্থ টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারেও থিতু হয়ে ভেঙে পড়ার হতাশা। যেই বোলিং নিয়ে বিশ্বকাপের আগে স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ, সেই বোলিংয়ে নেই তেজ। ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশ শিবিরে বাজছে কেবলই বিষাদের গান।

হিমু আক্তার, ভারত থেকে