বিশ্বকাপে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে যুগান্তকারী উদ্যোগ ফিফার
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’—খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলে দেশের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছে থাকে প্রতিটি ফুটবলারেরই। ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ যে ট্রফিটি দেওয়া হয়, সেটি নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। ১৯৩০ সালে পুরুষ এবং ১৯৯১ সালে নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজন শুরু করলেও লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে বারবার সমালোচনা মুখে পড়তে হয়েছে ফিফাকে। এবার বিশ্বকাপে নারী-পুরুষ সমতা বজায় রাখতে যুগান্তকারী উদ্যোগ নিচ্ছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
পুরুষদের চেয়ে ৬১ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেও অগ্রগতির দ্রুততায় বিস্ময় জাগাচ্ছে নারীরা। তাই মাঠে এবং মাঠের বাইরের সব ক্ষেত্রেই নারী অচিরেই সমান অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছে ফিফা। ছেলেদের সোনায় মোড়ানো বিশ্বকাপ ট্রফি দেওয়া হলেও নারীদের দেওয়া হয় রুপার তৈরি ট্রফি। নানান সময়ে যা নিয়ে বেশ সমালোচনায় পড়তে হয়েছে ফিফাকে। এবার নারী ও পুরুষদের একই ট্রফি দেওয়ার ভাবনায় ফিফা।
আকার, ওজন, উপাদান, মূল্য সব মানদণ্ডেই ট্রফিতে সমতা আনতে গবেষণা চালাচ্ছে ফিফা। আগামী ১৭ মে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ফিফার ৭৪তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পুরুষ ও নারীদের বিশ্বকাপ ট্রফি একই রকম করার প্রস্তাব পেশ করবে ফিফা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বিশ্বকাপ হতেই এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে চায় সংস্থাটি।
ছেলেদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হাতে যে ট্রফিটা দেওয়া হচ্ছে, তা ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে এখনও সবচেয়ে ব্যয়বহুল। ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি ট্রফিটার বর্তমান দাম দুই কোটি মার্কিন ডলার (২১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা)। অন্যদিকে, মেয়েদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল যে ট্রফি পেয়ে থাকে, সেটাতে ২৩ ক্যারেট সাদা ও হলুদ সোনার প্রলেপ দেওয়া থাকে। দাম মাত্র ৩৭ হাজার ৪০০ ডলার (৪১ লাখ টাকার কিছু বেশি)।