ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছোট মাঠে বড় পুঁজি ভারতের
ব্যাটিংস্বর্গ উইকেট হিসেবে বেশ পরিচিত দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। ঐতিহাসিকভাবেই ব্যাটারদের সুবিধা দিয়ে আসছে এখানকার পিচ। যা ভালোই টের পেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ শুরু ছাপিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন নিতীশ রেড্ডি-রিঙ্কু সিংহরা। সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের চাই ২২২ রান।
আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) এই ম্যাচ যে রানবন্যার হবে, তা ছিল অনেকটাই অনুমেয়। এরপরও টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, সেটাই প্রমাণ করলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২১ রান তোলে ভারত। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন নিতীশ।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের শুরুটা হয় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে। যদিও প্রথম ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন তিনি। ১৫ রান তুলে শুরুতেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারত। যদিও উড়ন্ত শুরু ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলেই উইকেট হারায় ভারত। তাসকিন আহমেদের করা বলে পাঞ্চ করতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সানজু স্যামসন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও সময় লাগেনি ভারতের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আবারও উইকেট হারায় ভারত। এবার সাজঘরের পথ ধরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার অভিষেক শর্মা। তানজিম সাকিবের ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে করা বলে মিড উইকেট দিয়ে স্লগ শট খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৫ রান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবার ফেরেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। মুস্তাফিজুর রহমানের কাটার ডেলিভারি মিড অফ দিয়ে খেলতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ১০ বলে ৮ রান। তখন ভারতের দলীয় সংগ্রহ মাত্র ৪১ রান। এরপর বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট রিঙ্কু সিংহকে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন নিতীশ রেড্ডি।
এই দুই ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তা না দিয়ে গড়েন ৪৯ বলে ১০৮ রানের বিশাল জুটি। মূলত এই জুটিতেই রানের পাহাড় গড়ে ভারত। মাত্র ২৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন নিতীশ। ২১৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ব্যাটার। অবশ্য তার বিদায়েও রানের চাকা থেমে থাকেনি ভারতের। রিয়ান পরাগ ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে শেষদিকে ব্যাট হাতে ফের একবার ঝড় তোলেন। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।