মেসি ম্যাজিকে ইন্টার মায়ামির প্রথম জয়োল্লাস

প্রথম ম্যাচে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইন্টার মায়ামিকে। পোর্তোর বিপক্ষেও শুরুতেই গোল হজম করে বড় ধাক্কা খেলো। প্রথমার্ধজুড়েই লিওনেল মেসিদের ওপর ছড়ি ঘোড়ালো পোর্তো। এতে শঙ্কা জেগেছিল এবারও ম্যাচ হারের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ঝলক দেখাতে শুরু করল মায়ামি। ম্যাজিক দেখালেন মেসি নিজেও। সব শঙ্কা উড়িয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠলো মায়ামি। টিকিয়ে রাখলো পরের রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (২০ জুন) ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। সামু ওমোরদিওন পোর্তোকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান তালিস্কা সেগোভিয়া। এরপর জয়সূচক গোলটি করেন মেসি।
দুই ম্যাচে সমান একটি জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয়স্থানে মায়ামি। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষস্থানে ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাস। সমান ১ করে পয়েন্ট নিয়ে পোর্তো তিনে ও আল আহলি চারে।
ক্লাব বিশ্বকাপে এবারই প্রথম খেলছে মায়ামি। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নেমেছিল স্বাগতিকরা। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মেসিরা। মিশরের ক্লাব আল আহলির বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি।
বল দখলের লড়াইয়ে সমান সমান ছিল দুই দলই। ৫০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের ৬টি শট নেয় মায়ামি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টিই। বিপরীতে ৬ শটের ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পোর্তো।
পর্তুগালের ক্লাবটির বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজে নেমে শুরুটা আরো বাজে হয় মায়ামির। ম্যাচের শুরুতেই হজম করে বসে গোল। পঞ্চম মিনিটে পোর্তোর জোয়াও মারিকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন মায়ামি ডিফেন্ডার অ্যালেন। ভিএআর মনিটর দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। সফল স্পটকিকে পোর্তোকে এগিয়ে নেন সামু ওমোরদিওন।
পোর্তোর এই গোলের পরে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন মায়ামির নায়ক মেসি। কিন্তু সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। তার প্রচেষ্টা রুখে দেন ক্লাওদিও রামোস।
বিরতির আগে আরেকবার মায়ামি বেঁচে যায় ভাগ্য সহায়তায়। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া পোর্তোর ফুটবলার আলান ভারেলার শট বাধা পায় পোস্টে।
প্রথমার্ধে ধুকতে থাকা মায়ামি ফিরে আসে দ্বিতীয়ার্ধে। এই অর্ধের প্রথম থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকে পোর্তোর ওপর। ফলাফল পেতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। ৪৭ মিনিটে সমতা ফেরান সেগোভিয়া। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই জোড়ালো শটে খুঁজে নেন জাল।
একটু পরেই ম্যাজিক দেখান মেসি। ৫৪ মিনিটে ডি-বক্সের একটু বাইরে তাকে ফাউল করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রদ্রিগো মোরা। দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ডানদিকের ওপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন তারকা।
শেষদিকে কয়েকটি ভালো আক্রমণ শানলেও সেখান থেকে গোল বের করতে পারেনি পোর্তো। ফলে হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাদের। প্রথম জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে মায়ামি।