ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় যেভাবে

ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারগুলোর একটি। ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অর কার হাতে উঠতে যাচ্ছে, তা জানা যাবে আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে। দিনরাত রাত ১টায় (ফ্রান্সের স্থানীয় সময় রাত ৯টায়) শুরু হবে অনুষ্ঠানটি। প্যারিসের থিয়েটার দ্যু শাতলেতে জমকালো আয়োজনে সর্বশেষ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এই পুরস্কারের জন্য তালিকা করা এবং পুরস্কার জয়ীকে নির্বাচন করার জন্য কিছু মানদন্ড অনুসরণ করা হয়।
পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের জন্য ফ্রান্স ফুটবল ভোটারদের জন্য তিনটি মূল মানদণ্ড ঠিক করে দিয়েছে– ‘খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, ম্যাচে কৌশলগত ও দর্শনীয় প্রভাব রাখার সক্ষমতা।’ ‘দলগত সাফল্য ও অর্জন।’ ‘মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়সুলভ আচরণ।’
একটি নির্দিষ্ট সময়েরে হিসাব ধরে ফ্রান্স ফুটবল ও ফরাসি পত্রিকা লেকিপ-এর সাংবাদিকেরা মিলে তৈরি করেন ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। যেমন এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৩ জুলাই পর্যন্ত। এরপর এই পুরস্কার কার হাতে উঠবে তা নির্ধারণ করেন বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা। পুরুষদের ক্ষেত্রে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০টি দেশের একজন করে প্রতিনিধি এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৫০টি দেশের প্রতিনিধি এই জুরিতে থাকেন।
প্রত্যেক সাংবাদিক ৩০ জন মনোনীত খেলোয়াড়ের তালিকা থেকে ১০ জনকে বাছাই করেন এবং এরপর ক্রম অনুযায়ী সাজান। প্রথম অবস্থানের জন্য ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ১০, এরপর ক্রমানুসারে কমতে থাকে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ এভাবে দশম অবস্থানের জন্য ১ পয়েন্ট দেওয়া হয়।
সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া খেলোয়াড়ই ব্যালন ডি’অর জিতে নেন। তবে যদি একাধিক খেলোয়াড়ের পয়েন্ট সমান হয়, তাহলে প্রথমে দেখা হয় কে বেশি প্রথম স্থান পেয়েছেন। সেটাও সমান হলে দ্বিতীয় স্থান, তারপর তৃতীয় স্থান এভাবে ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের ভোটে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নির্ধারণের এই নিয়মটা শুরু থেকেই ছিল। তবে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচ এবং অধিনায়করাও ভোট দিতে পারতেন। ২০১৬ সাল থেকে আবারও শুধু সাংবাদিকদের ভোটেই নির্বাচন করার নিয়মে ফিরে আসে ফ্রান্স ফুটবল। তবে ২০২২ সাল থেকে নিয়মে আরো কিছুটা পরিবর্তন আসে, নির্ধারণ করে দেওয়া হয় কয়টি দেশের সাংবাদিকরা ভোট দেবেন।