আবারও সিএবির সভাপতি সৌরভ

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ছয় বছর পর আবারও ফিরলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি)সভাপতি পদে। সিএবির ৯৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে এই পদে ছিলেন তার বড় ভাই স্নেহাশীষ গাঙ্গুলী। ছয় বছরের মেয়াদ শেষ করার পর এই পদ ছাড়লেন তিনি।
এর আগে ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত বেঙ্গল ক্রিকেটের সভাপতির পদে ছিলেন সৌরভ। এরপর বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সেখানে ছিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। ২০২১ সালে আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। এরপর চলতি বছরের শুরুর দিকেই গাঙ্গুলীকে আবারও এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সৌরভ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তার তাৎক্ষণিক কিছু অগ্রাধিকার তুলে ধরেছেন। তার প্রথম লক্ষ্য হল কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামের দর্শক আসন ১ লাখে উন্নীত করা। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা প্রায় ৬৮ হাজার।
২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইডেনে বড় ম্যাচ আয়োজনের জন্য চেষ্টা চালাবেন বলেও জানান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনেক বড় একটি আয়োজন, আর সেখানে ইডেন গার্ডেন্সের বড় ভূমিকা থাকা উচিত।’
দীর্ঘদিন পর ইডেনে আবার টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে। আগামী ১৪ নভেম্বর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানে। এটি হবে ২০১৯ সালের পর ইডেনে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। শেষবার বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্ট আয়োজন করেছিলেন এখানে।
ইডেনের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যবস্থাও আরও মজবুত করতে চান সৌরভ। এছাড়া সিএবিএর ভিশন ২০২০ প্রোগ্রামকে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে অলিম্পিকের লক্ষ্য মাথায় রেখে আগামী দিনের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের গড়ে তোলা যায়।
সিএবির নির্বাচনে সৌরভের প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাবলু (সচিব), মদন মোহন ঘোষ (যুগ্ম সচিব), সঞ্জয় দাস (কোষাধ্যক্ষ) ও অনু দত্ত (সহ-সভাপতি)।