এশিয়া কাপ
ভারতকে হারাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৬৯ রান

টি-টোয়েন্টি মানেই বোলারদের তুলোধুনা করো। ভারতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা সেটাই করেছেন বাংলাদেশি বোলারদের সঙ্গে। শুরু থেকে যে আগ্রাসন নিয়ে ব্যাটিং করেছেন দুজন, মনে হয়েছিল রান ছাড়াবে ২০০-র ঘর। বাংলাদেশি বোলাররা নিজেদের গুছিয়ে নেন। টেনে ধরেন লাগাম। ২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৮ রান।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জাকের আলী অনিক। লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে আজ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে ৭২ রান। ব্যাটিং ঝড় থামান রিশাদ হোসেন। ১৯ বলে ২৯ রান করা গিলকে বিদায় করেন রিশাদ। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। ৭৭ রানে ভাঙে ভারতের উদ্বোধনী জুটি। এক ওভার পর বোলিংয়ে এসে আবারও সাফল্য এনে দেন রিশাদ। নবম ওভারের প্রথম বলে তিনি ফেরান শিভাম দুবেকে। ২ রান করে লং অফে তাওহিদ হৃদয়ের তালুবন্দি হন দুবে।
অভিষেক শর্মাকে রান আউট করতে মুস্তাফিজুর রহমান যখন স্ট্যাম্প ভাঙেন, বল হাতে ছিল কি না, দেখছিলেন টিভি আম্পায়ার। আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখলেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সময় নিয়ে। শেষ পর্যন্ত স্ক্রিনে ভেসে ওঠে, এটি আউট। বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেওয়া অভিষেক বিদায় নেন। তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি আসে বাংলাদেশ শিবিরে। ৩৭ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৫ রান করেন অভিষেক।
একই ওভারে মুস্তাফিজ ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে। মুস্তাফিজের ফুলটসে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন যাদব। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে তিলক ভার্মাকে বিদায় করেন তানজিম হোসেন সাকিব। ৫ রান করে ডিপ মিড উইকেটে সাইফ হাসানকে ক্যাচ দেন তিলক।
শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে চড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় ভারত। ইনিংসের শেষ বলে সাইফউদ্দিনের শিকার হন পান্ডিয়া। তানজিদ হাসান তামিমের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩৮ করেন পান্ডিয়া।
বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ দুটি এবং মুস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন ও সাকিব পান একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : ২০ ওভারে ১৬৮/৬ (অভিষেক ৭৫, গিল ২৯, দুবে ২, যাদব ৫, পান্ডিয়া ৩৮, তিলক ৫, অক্ষর ১০*; সাকিব ৪-০-২৯-১, নাসুম ৪-০-৩৪-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১, সাইফউদ্দিন ৩-০-৩৭-১, রিশাদ ৩-০-২৭-২, সাইফ ২-০-৭-০)